|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

'বাজবল' তত্ত্ব টেস্ট ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছে নতুন এক পর্যায়ে। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও বেন স্টোকসের জুটি লাল বলের ক্রিকেটে বিশ্বকে ইংল্যান্ডকে চেনাচ্ছে নতুন করে। প্রতিপক্ষকের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে ওঠা এই তত্ত্ব নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছেন না স্টিভ ওয়াহ।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক উল্টো বাজবল নিয়ে ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। অজিদের বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়কের প্রশ্ন, বাজবল নিয়ে ইংল্যান্ডের 'প্ল্যান বি' আছে তো? এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের বোলিং অ্যাটাকের সামনে এই তত্ত্ব কাজে আসবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওয়াহ।

গেল এক বছরে ইংল্যান্ড ১৩ টেস্টের মাঝে জিতেছে ১১টিতে। ওভার প্রতি রান করেছে ৪.৮৫ রেটে। এ ছাড়া দলের পাঁচ ব্যাটার ৭৫ স্ট্রাইক রেটের ওপরে রান করেছে। কিন্তু ওয়াহ পরিসংখ্যান নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। তিনি মনে করছেন, কঠিন কন্ডিশন ও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বেন স্টোকসের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

ওয়াহ বলেন, 'আমার বড় প্রশ্ন হচ্ছে এই তথাকোথিত বাজবল তত্ত্ব নিয়ে। তাদের কি কোন ভিন্ন পরিকল্পনা বা প্ল্যান বি আছে কিনা? তারা এই তত্ত্ব দিয়ে সম্প্রতি সময় বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু তাদের আসল পরীক্ষা হবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের বোলিং অ্যাটাকের সাম্ননে।'

'বাজবল তত্ত্ব কি বিশ্বমানের বোলিং অ্যাটাকের সামনে দাঁড়াতে পারবে? কারণ এখানে খেলা হবে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে। আমার সন্দেহ আছে! এবার এই তত্ত্ব কাছে আসা নিয়ে। ম্যাককালাম ও স্টোকসের কি সেই সাহস আছে? এমন না যে পরিকল্পনা কাছে আসল না আর অনেক কিছু বদলে ফেললাম! তাদের কি ভিন্ন কোন পরিকল্পনা আছে? হয়তো ওদের সেটা খুঁজে বের করতে হবে' আরও যোগ করেন তিনি।

ওয়াহ'র মত রিকি পন্টিং মনে করছেন, ইংল্যান্ড যে তত্ত্বে এগোচ্ছে তাতে অ্যাশেজে সফলতা আসবে না। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার দুইবার বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়কের দাবি, এই অ্যাশেজকে ঘিরেই এতোদিন ধরে বাজবল তত্ত্বে ক্রিকেট খেলে আসছে ইংল্যান্ড। কিন্তু এই তত্ত্বে অ্যাশেজ জেতা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।

পন্টিংয়ের ভাষ্যমতে, 'আমার কিছু চিন্তা-ভাবনা আছে। আমি যদি অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার হতাম তাহলে কি করতাম। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড কয়েকবছর ধরে এই ধরণের ক্রিকেট খেলে আসছে কারণ তাদের মাথায় অ্যাশেজ ছিল। তারা এই অ্যাশেজকে ঘিরেই এই তত্ত্ব তৈরি করেছে। কিন্তু এই তত্ত্বে অ্যাশেজ জেতা সম্ভব নয়।'

চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে অ্যাশেজ। ৫ টেস্টের এই সিরিজ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ জুন এজবাস্টনে হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাকি ৪ টেস্টের ভেন্যু লর্ডস, হেডিংলি, ওল্ড ট্রাফোর্ড ও কিয়া ওভাল। এ ছাড়া সর্বশেষ অ্যাশেজে ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড।