|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শুভমানের গিলের বিতর্কিত ক্যাচ ধরে আলোচনায় উঠে এসেছেন ক্যামেরন গ্রিন। যদিও অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডারের মতে, বলটি মাটিতে পড়ার আগেই লুফে নিতে সমর্থ হয়েছেন তিনি। এই ক্যাচটি নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই গ্রিনের।

দ্যা ওভালে ৪৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় তখন ব্যাটিং করছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা এবং গিল। ৭ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৪১ রান তুলেও ফেলেছিলেন তারা। আর তখন স্কট বোল্যান্ডের করা বলটি গিলের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়।

স্লিপে দাঁড়িয়ে বাঁ হাত বাড়িয়ে দেন গ্রিন। বল তার মুঠোয় নয়, আঙুলে আটকে যায়। ক্যাচটির বৈধতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। গিল নিজেও নারাজ হন। ওভালের ভারতীয় সমর্থকরা দুয়ো দিচ্ছিলেন এবং ‘চিট… চিট’ বলে চিৎকার করছিলেন।

যদিও তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। বারবার টিভি রিপ্লে দেখে তিনি বলছিলেন, বলের নিচে গ্রিনের আঙুল আছে এবং গ্রিন পুরো সময়টাতেই বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলেন। শেষপর্যন্ত ১৯ বলে ১৮ রান করে ফিরতে হয় গিলকে।

ক্যাচটি নিয়ে দিনের খেলা শেষে গ্রিন বলেন, 'সেই সময় আমার কাছে মনে হয়েছিল যে আমি তা ধরতে পেরেছি। মনে হয়েছে হুট করেই ধরে ফেলেছি। আমি ভেবেছিলাম এটা খুবই পরিষ্কার একটি ক্যাচ এবং বলটি আমি উপরে ছুঁড়ে মেরেছি। অবশ্যই ক্যাচটি নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। পরে এটার সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ার নেয় এবং তিনিও সম্মতি দেন।'

প্রথম ইনিংসে সহজ একটি ক্যাচ ছেড়েছিলেন গ্রিন। পরে সেই ইনিংসেই দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিয়ে ফেরান ৮৯ রান করে ভারতকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখা অজিঙ্কা রাহানেকে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে গিলের ক্যাচটি ধরে ভারতের রান তোলার ছন্দও নষ্ট করেন তিনি।

গ্রিন আরও বলেন, 'আমি যতই বেড়ে উঠেছি, ততই আমি ক্যাচের অনুশীলন করেছি। আমি সবসময় প্রথম বা দ্বিতীয় স্লিপে থেকে ক্যাচ লুফে নেয়ার চেষ্টা করেছি। জুনিয়র পর্যায়ের পুরো ক্যারিয়ারে আমি আসলে এটাই করেছি। আমি দারুণ সব ক্যাচ লুফে নিতে পারি। যদিও প্রথম দিন সেই সহজ ক্যাচটি ছেড়ে দেয়ার জন্য আমি হতাশ। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে ভালোই লাগে।'

গ্রিনের ক্যাচের খেসারত ভালোভাবেই দিয়েছে ভারত। এরপর চেতেশ্বর পূজারা এবং রোহিতের উইকেটও হারায় দলটি। উইকেটে আছেন বিরাট কোহলি এবং রাহানে। ম্যাচ জিততে শেষদিনে ভারতের দরকার ২৮০ রান, অস্ট্রেলিয়ার দরকার সাত উইকেট।