|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) মে মাসের প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, হ্যারি টেক্টর ও বাবর আজম। সবাইকে চমকে দিয়ে শান্ত-বাবরদের টপকে মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়েছে টেক্টর।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তার দল হারলেও ব্যাট হাতে সাবলীল পারফরম্যান্স করেছেন টেক্টর। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ২১ রান করেছিলেন টেক্টর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৩ বলে ১০ ছক্কা ও ৭ চারে ১৪০ রানের ইনিংস। আর শেষ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।

পারফরম্যান্সে তাকে দারুণ টক্কর দিয়েছেন শান্তও। বাংলাদেশের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটারের। প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৪৪ রান, ম্যাচটি পরে পরিত্যক্ত হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে।

বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষ ম্যাচে ৪৫ ওভারে ৩২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রায় সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। মাত্র ৯৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হন এই বাংলাদেশি ব্যাটার। সিরিজের শেষ ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৩৫ রান। এরপর বল হাতে নিয়েছেন একটি উইকেটও।

তিন ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৯৬ রানের পাশাপাশি একটি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন শান্ত। বাবরও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্লেয়ার অব দ্য মান্থের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজের শেষ তিনটি ম্যাচ হয়েছিল মে মাসে।

পুরো সিরিজ জুড়েই দুর্দান্ত পারফর্ম করেন বাবর। তৃতীয় ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। চতুর্থ ম্যাচে ১১৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। পাকিস্তানের ৪-১ ব্যবধানে জেতা সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

এদিকে নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপোয়াচ পুত্থাওং। কম্বোডিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান গেমসে ১১ উইকেট নিয়ে থাইল্যান্ডের সোনা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন পুত্থাওং। তার সঙ্গে মাস সেরার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন শ্রীলঙ্কার হার্শিথা সামারাবিক্রমা ও চামারি আতাপাত্তু।