ছবি- সংগৃহীত

নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ঘটা চুমুকাণ্ডের জের ধরে বেশ বিপাকেই রয়েছেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। সমালোচনার তীর সইতে না পেরে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়েছে তাকে। তবে শুধু ক্ষমা চেয়েই হয়তো পার পাবেন না স্প্যানিশ ফুটবল প্রধান। কেননা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন চুমু খাওয়া ফুটবলার জেনিফার এরমাসো। গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

সেই ঘটনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও অবশেষে মুখ খুলেছেন জেনিফার। পেশাদার নারী ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রো ইউনিয়ন ও নিজের এজেন্সির মাধ্যমে যৌথ বিবৃতিতে রুবিয়ালেসের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

বিবৃতিতে ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, ‘আমার এজেন্সি টিএমজে-এর সঙ্গে মিলে আমার ইউনিয়ন ফুটপ্রো আমার বিষয়টি দেখভাল করছে। সে ঘটনায় তারাই আমার মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে।’

আরও পড়ুন: চুমুকাণ্ডে সমালোচনা, ক্ষমা চাইলেন স্পেনের ফুটবলপ্রধান

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় কেউ যেন কখনোই শাস্তি না পেয়ে পার পায় এবং এই ধরনের অগ্রহণযোগ্য আচরণ থেকে নারী ফুটবলারদের রক্ষা করতে যেন তাদের শাস্তি দেওয়া হয় ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’

ইতোমধ্যেই রুবিয়ালেসকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে স্পেনের নারী ফুটবল লিগ ‘লিগা এফ’ কর্তৃপক্ষ দাবি উত্থাপন করেছে। ইতোমধ্যেই তারা এ বিষয়ে দেশটির জাতীয় স্পোর্টস কাউন্সিলের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে।

‘লিগা এফ’ কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘কোনো সংস্থার প্রধান কোনোভাবেই তার কর্মীকে এভাবে মাথায় আঁকড়ে ধরে মুখে চুমু দিতে পারেন না এবং এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন: চুমু খেয়ে বিপাকে স্প্যানিশ ফুটবল প্রধান

এদিকে রুবিয়ালেসের এমন আচরণে চটেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘স্রেফ ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়।’

এর আগে গত রোববার (২০ আগস্ট) ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের স্বাদ পায় স্পেন। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উচ্ছ্বসিত রুবিয়ালেস দলের সব ফুটবলারকেই আলিঙ্গনে জড়ান। সে সময় কয়েকজন ফুটবলারকে জড়িয়ে উঁচুতে তোলার পাশাপাশি দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ের গালে ও কপালে চুমু দিতে দেখা যায় তাকে।

তবে এরমোসোর ক্ষেত্রে মাত্রা ছিল আরেকটু তীব্র। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারকে কিছুটা সময় জড়িয়ে রেখে পরে দুহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে আচমকা ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন তিনি। আর তাতেই শুরু হয় সমালোচনা।