ছবি: সংগৃহীত

মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে রেকর্ডময় এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১৫ রানেই অলআউট হয়ে গেছে সফরকারীরা। ফলে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় ও নিজেদের সর্বোচ্চ ৫৪৬ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।

এদিকে চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস। টাইগারদের সাদা পোশাকে দ্বাদশতম অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ম্যাচেই জয়ে রাঙালেন লিটন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই জয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও নাম লিখিয়ে ফেললেন লিটন। বাংলাদেশের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি। এই তালিকায় আগে নাম লিখিয়েছিলেন দেশসেরা ক্যাপ্টেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও টাইগার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্বের অভিষেক হয়েছিল মাশরাফীর। যদিও সে ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের পর ৬.৩ ওভার বোলিং করে চোটের কারণে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এরপর আর টেস্টও খেলেননি ম্যাশ। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জিতেছিল তার দল।

একই সিরিজের পরের টেস্টে মাশরাফীর অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো নেতৃত্বভার পেয়েছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচে তার অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের নৈপুণ্যে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের স্বাদ এনে দিলেন লিটন।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে একটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন। এছাড়া গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে একদিনের সিরিজেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিন ম্যাচের সেই সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে এবারই তিনি প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন।

এদিকে টেস্টে ২৩ বছরের পথচলায় এখন পর্যন্ত ১৩৮ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে জয় ও ড্রয়ের সংখ্যা সমান মাত্র ১৮টিতে। বিপরীতে ১০২টি ম্যাচে হার মেনেছে টাইগারা।

বাংলাদেশের প্রথম তিন টেস্ট অধিনায়ক দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট ও খালেদ মাহমুদ সুজনদের কেউই পাননি জয়ের দেখা। এ ছাড়াও মোহাম্মদ আশরাফুল ও তামিম ইকবাল নেতৃত্ব দিয়ে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেননি। তবে বাংলাদেশ প্রথমবার জয়ের দেখা পায় হাবিবুল বাশারের হাত ধরে।

এরপর দ্বিতীয় জয় আসে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার হাত ধরে। তবে মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত জেতাও শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। তারপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুমিনুল হকরা জয় পেয়েছেন। এই তালিকায়ও নিজের নাম লেখালেন লিটন।