|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সবশেষ কয়েক বছরে দারুণভাবে উন্নতি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। যার ফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা ক্রমশই প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ হয়ে উঠছেন। পেসারদের উন্নতির কথা বলতে গিয়ে লিটন জানান, নেটে তাসকিনদের খেলতে বেগ পেতে হয় তাদের।

গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশের যেন পেস বিপ্লব ঘটেছে। যদিও ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে বাংলাদেশের আস্থা সেই পুরোনো স্পিন নির্ভর উইকেটই। মিরপুরের নিচু ও বাঁক খাওয়া উইকেটে এমন কিছু আসলে একেবারে দোষের কিছু না। তবে নিজেরা উন্নতি করে দেশের মাটিতে উইকেট তৈরিতে ভালোই প্রভাব রাখছেন পেসাররা।

মিরপুরে একজন মাত্র পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ, এমন ম্যাচের সংখ্যা অহরহ। যদিও সেটা ক্রমশই বদলে যেতে শুরু করেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে দুজন পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সংখ্যাটা তিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও কমেনি সংখ্যাটা। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা প্রতিদান দিয়েছেন তারা।

১৮ উইকেটের মাঝে ১৪টিই নিয়েছেন তাসকিনরা। বাংলাদেশের পেসাররা কতটা উন্নতি করেছে সেটার প্রমাণ মিলেছে লিটন দাসের কথায়। বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা করতে গিয়ে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক জানান, তাসকিনদের নেটে খেলতে বেগ পেতে হয় তাদেরও। তাতে করে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লিটন বলেন, ‘ওরা কত ভালো করছে, সেটা পিচ ম্যাপেই বোঝা যায়। ওরা এখন কাভার পয়েন্ট ছাড়া বল করছে। ওদের বিপক্ষে আমাদের নেটে ব্যাটিং করতেও কষ্ট হয়। তাতে আমাদের প্রস্তুতিও ভালো হচ্ছে। এটা ধরে রাখতে পারলে নতুনেরা আরও আগ্রহী হবে।’

ম্যাচ শেষে মিরপুরের উইকেটের প্রশংসা করেছেন তাসকিন। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেয়ার পর ইবাদত হোসেন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে এর আগে এমন উইকেট দেখেননি। উইকেটে পেসারদের জন্য যে বাড়তি সুবিধা ছিল সেটা মাঠের খেলাতেই পরিস্কার।

ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ এমন উইকেট তৈরি করবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছিল লিটনের কাছে। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, সেটা নির্ভর করছে প্রতিপক্ষের শক্তি আর দূর্বলতার উপর। ঘরের মাঠের সুবিধা নেয়ার জন্য যেটা করা প্রয়োজন সেটাই করা হবে বলে জানান তিনি।

লিটন বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে আমরা কার সঙ্গে খেলছি। এমন না যে শুধু স্পিন উইকেটে খেলব বা শুধু পেস উইকেটে খেলব। যার সঙ্গে খেলব তাদের শক্তি, দুর্বলতা সব কিছু পর্যালোচনা করে…যেটা মানুষ করে হোম এডভান্টেজ নেওয়া। এটাই করব।’