|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স দেখানো শাহাদাত হোসেন দিপু রান করেছেন সবশেষ দুই ‘এ’ দলের সিরিজে। ডানহাতি এই ব্যাটারের টেস্টের টেম্পারমেন্ট মনে ধরেছে নির্বাচকদের। এদিকে মুশফিক হাসান বাজিমাত করেছেন সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে। রংপুর বিভাগের হয়ে ২৫ উইকেট নিয়ে দিপুর সঙ্গে বাংলাদেশের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন মুশফিক। লাল বলের ক্রিকেটে তাদের দুজনের ভালো করার সুযোগ দেখছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন দিপু। বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে নিয়মিতই খেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সবশেষ এনসিএলে ভালো করতে না পারলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) রান পেয়েছিলেন দিপু। এদিকে লাল বলের ক্রিকেটে নজর কেড়েছেন ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘এ’ বিপক্ষে খেলা চারদিনের ম্যাচে।

গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে উমেশ যাদব,মুকেশ কুমার, নবদীপ সাইনিদের ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের শেষ ইনিংস ছাড়া পুরো সিরিজেই নিষ্প্রভ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়দের ব্যর্থতার ম্যাচে দুই ইনিংসে ৭৩ ও ৫০ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন দিপু।

টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন হাবিবুল বাশার সুমনের। লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দিপুর ভালো করার সক্ষমতা দেখছেন নান্নু। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা আছে কিছু ব্যাটারকে দেখতে হয়। যেমন দিপুর কথা যদি বলি আমরা মনে করি যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার ওর যথেষ্ট ক্যাপাবিলিটি আছে। সেই টেকনিক্যাল দিকগুলো চিন্তা করেই ওকে নেয়া হয়েছে।’

দিপুর মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ডাক পড়েছে পেসার মুশফিকেরও। সবশেষ ডিপিএলে ভালো করতে পারেননি, ‘এ’ দলের সিরিজেও আহামরী পারফরম্যান্স করেছেন ব্যাপারটা তেমনও নয়। এবারের এনসিএলে ৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে আলো ছড়ান তিনি। সঠিক জায়গায় নিয়মিত বোলিং করতে পারায় তাকে নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক।

এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘মুশফিক হাসানেরও যথেষ্ট ক্যাপাবিলিটি আছে। সঠিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করতে পারে সে। আশা করছি দুজনই সুযোগ পেলে ভালো মতো মেলে ধরতে পারবে।’

আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চোট থেকে সেরে না উঠায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দলে নেই অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে না পাওয়াটা চিন্তার মনে করেন নান্নু। তবে তার বিশ্বাস যারা আছে তারা ভালো করবে।

নান্নু বলেন, ‘দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় না থাকলে এটা অবশ্যই চিন্তার, সে আমাদের অধিনায়কও। যারা আছে তাদের সেই সক্ষমতা আছে ভালো খেলার এবং দেশকে দেয়ার অনেক কিছুই আছে।’