|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লম্বা সময় অস্ট্রেলিয়ার তিন ফরম্যাটের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সাদা পোশাকে ফর্ম তার হয়ে কথা বলছে না। তাই নিজেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ দিয়ে।

এরই মধ্যে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে ওয়ার্নারের শূন্যস্থান পূরণ নিয়ে। যদিও অস্ট্রেলিয়ার রাডারে আছেন এক ঝাঁক ওপেনার। ক্যামেরন ব্যানক্রফট, মার্কাস হ্যারিস ও ম্যাথু রেনশর মতো ক্রিকেটার রয়েছেন। যদিও অস্ট্রেলিয়ার সাদা পোশাকের ওপেনার হিসেবে মার্ক ওয়াহর পছন্দ ক্রিস গ্রিনকে।

এই চার ক্রিকেটারই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রাইম মিনিস্টার একাদশের হয়ে খেলেছেন। দলটি ১৪১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৬৭ রান। ব্যানক্রফটের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ রান। গ্রিন আউট হয়েছেন ৪৬ রান করে। হ্যারিস অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রান করে। আর রেনশ অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ রান করে।

প্রস্তুতি ম্যাচের রান খুব একটা আমলে নিচ্ছেন না ওয়াহ। তিনি মনে করেন গ্রিনই হতে পারেন ওয়ার্নারের বিকল্প। পেস বোলিং অলরাউন্ডার গ্রিনের মাঝে শেন ওয়াটসনের ছায়াও দেখছেন তিনি। ওয়াহ বলেন, ‘খুব বেশি বিকল্প নেই। কিন্তু আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে ক্যামেরন গ্রিনকে ইনিংস ওপেন করানোর বিষয়টি ভাবছি। আমি তাকে দলে দেখতে চাই। কারণ, তার মধ্যে অনেক কিছু দেয়ার আছে।’

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫৫টি ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা আছে গ্রিনের। এর মধ্যে ৮টি টি-টোয়েন্টি, ২৩টি ওয়ানডে ও ২৪টি টেস্ট খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। কোনো সময়ই ৪ এর ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি। ফলে নতুন বলে খেলার জন্য গ্রিন কতটা পারদর্শী সেটাও পরীক্ষিত হয়। এখানে ওয়াহর যুক্তি, ‘সে ৬ নম্বরে ব্যাটিং করেছে। ৬ নম্বর ব্যাটসম্যান প্রায়ই দ্বিতীয় নতুন বল পায়। তাই আমি মনে করি, এটা শেন ওয়াটসনের মতো পরিস্থিতি হবে।’

গ্রিন দলে ভারসাম্য আনবেন বলেও বিশ্বাস ওয়াহর। ব্যাট হাতে ভালো না করলেও অলরাউন্ডার হিসেবে গ্রিনের ভূমিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি বলেন, 'সে দলে ভারসাম্য আনবে। কারণ সে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা বোলিং করতে পারে। এ ছাড়াও সে একজন ভালো ফিল্ডার, আর আমি মনে করি ব্যাটিংয়ে সে বেশি কিছু দেখাতে না পারলেও তার ট্যাকনিক ভালো এবং পেস বোলিংটা ভালোই পারে।'