|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিপিএলের এবারের আসরে পুরোপুরি ব্যাটিং–বান্ধব কিংবা আইসিসির টুর্নামেন্টের মানের উইকেট দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে পুরোপুরি সেটার বাস্তবায়ন করতে পারেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। হাতেগোনা দুই-একটি ম্যাচ ছাড়া বড় রানের দেখা যায়নি। দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের কথা বলতে গিয়ে বিপিএলের উইকেটকে দায় দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানান, এবারের বিপিএলের উইকেট আদর্শ নয়।

বাংলাদেশের কন্ডিশনে উইকেট নিয়ে বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিসিবিকে। সবশেষ কয়েক মৌসুমেই বিপিএল কিংবা মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা করেছেন তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব থেকে বিদেশি ক্রিকেটাররা। তাদের সমালোচনা বিসিবি পর্যন্ত গেলেও খুব বেশি ফায়দা পাওয়া যায়নি। এবারের আসর শুরুর আগে অবশ্য উইকেট নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছিল বিসিবি।

টুর্নামেন্ট শুরুর দুই সপ্তাহ আগে বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান রকিবুল হাসান ও বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুবুল আনাম নিশ্চিত করেছিলেন এবারের উইকেট হবে একেবারে টি-টোয়েন্টি সূলভ। তবে তাদের কথার প্রতিফলন দেখা যায়নি মাঠে। টুর্নামেন্টের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দেখা যায়নি দুইশ রানের কোনো ম্যাচে।

দলের রান ১৮০ ছুঁয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচে। বেশিরভাগ ম্যাচই হয়েছে ১৩০-১৬০ রানের মাঝে। এমন উইকেটকে বিপিএলের জন্য আদর্শ মানতে নারাজ সাকিব। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, এবারের চেয়ে গত মৌসুমের উইকেট ও কন্ডিশন দুটোই ভালো ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘বিপিএল একটা কঠিন প্রতিযোগিতা। এবারের বিপিএলের পিচগুলাও আইডিয়াল না। গতবারের পিচ এবং কন্ডিশন আমার কাছে মনে হয় দুইটাই ভালো ছিল, অনেক রান হচ্ছিলো যেটা এবার হচ্ছে না।’

দেশের ক্রিকেটের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হলেও এবারের মৌসুমে আলো ছড়াতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বেশিরভাগ ম্যাচেই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন বিদেশিরা। জাতীয় দলের হয়ে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই আছেন অফ ফর্মে। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারছেন না।

সাকিব অবশ্য এটি নিয়ে আলোচনা করতে বারণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে এটা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো। সবাই যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলবে... সবাই যার যার জায়গাতেই আছে। আমি মনে করি ভালো অবস্থাতেই আছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘স্বাভাবিকভাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বেশি খেলতে খেলতে একটু রিলেক্স হয়ে যায়। এরকম একটা টুর্নামেন্টে হয়ত সময় নিচ্ছে। এখন থেকে বিল্ডআপ করে বিশ্বকাপে গিয়ে হয়ত দল ভালো করবে। আমার কাছে মনে হয় না এটা নিয়ে হতাশ বা চিন্তিত হওয়ার কিছু আছে। আমি নিশ্চিত যারাই দলে থাকবে যার যার জায়গা থেকে ভালো করবে।’