|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শোনা গেছে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে বিশ্বকাপ থেকেই ব্যাটিংয়ের সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। তবে নিজের সমস্যাটা এখনও খুঁজে পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন, ব্যাটিংয়ে কেন সমস্যা হচ্ছে খুঁজছেন তিনি নিজেও।

অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি আছে সাকিবের। ব্যাটে-বলে একাই যেকোনো দলকে জেতানোর সামর্থ্য রাখেন তারকা এই ক্রিকেটার। রংপুর রাইডার্স সেটা ভেবে তাকে দলে নিলেও প্রত্যাশা মেটানো যাচ্ছে না চোখের সমস্যার কারণে। এখন পর্যন্ত বিপিএলে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে প্রতিটি ম্যাচে বোলিং করতে দেখা গেলেও ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনবার।

এর মাঝে একবার নেমেছিলেন একেবারে লোয়ার অর্ডার। বল হাতে সাফল্য পেলেও সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে ব্যাটিং করা সাকিব রান করেছেন মোটে ৪। চোখের জন্য যে ব্যাটিংয়ের সমস্যা হচ্ছে সেটা একেবারে স্পষ্ট। অলরাউন্ডার হিসেবে সুনাম থাকলেও বিপিএলে শুধুমাত্র বোলার হিসেবে খেলায় আক্ষেপ সাকিবেরও।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘জীবনে এই প্রথমবার শুধু একটা দিক নিয়ে খেলছি। রংপুর রাইডার্সের জন্য খারাপ লাগছে আমার। তারা আমাকে দলে নিয়েছিল। অথচ আমি তাদের জন্য অর্ধেক কাজ করতে পারছি, অর্ধেক পারছি না।’

বিশ্বকাপ থেকে এই সমস্যা বয়ে বেড়াচ্ছেন সাকিব। কবে নাগাদ ঠিক হবে সেটা জানেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজেও। তিনি বলেন, ‘জানি না, আমার কোনো আইডিয়া নেই কখন সেটা ঠিক হওয়া সম্ভাবনা আছে। ব্যাটিংয়ে কেন সমস্যা হচ্ছে এমন প্রশ্নে জবাবে সাকিবের উত্তর, ‘এটাই তো আমি খুঁজছি সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। এটা আমি বের করার চেষ্টা করছি, বাকিরাও চেষ্টা করছে।’

বিপিএল শেষ হওয়ার পরই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে জুনে বিশ্বকাপের জন্য উড়াল দিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে মাঝে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) চুক্তি আছে সাকিবের। তাতে করে বিপিএলের পরও ব্যস্ত সময় পার করতে হবে তাকে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে তিনি বিশ্রাম নেবেন কিনা।

সাকিব অবশ্য বিপিএল শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এরপর বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চান। সাকিব বলেন, ‘এটা আসলে সময়ই বলে দেবে। টুর্নামেন্ট এখনও আছে, দেখি কি অবস্থা দাঁড়ায়। তারপর অফিসিয়ালদের সঙ্গে কথা হবে এবং সিদ্ধান্তটা হবে।’