|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্রথম টেস্টে ১৯৬ রানের ইনিংস খেললেও বিশাখাপাত্নামে খানিকটা নড়বড়ে ছিলেন ওলি পোপ। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। উইকেটে অনেকটা সময় টিকে গেলেও জসপ্রিত বুমরাহর দারুণ ইয়র্কার পরাস্ত হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের ২৮তম ওভারের পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে বুমরাহকে মোকাবেলা করার অপেক্ষায় ছিলেন পোপ।

কুলদীপ যাদবের স্পিন ধরলেও দ্বিতীয় দিন সিম মুভমেন্ট পাচ্ছিলেন পেসাররা। সেই সঙ্গে রিভার্স সুইং পাওয়ায় সেটা নিখুঁতভাবে কাজে লাগিয়েছেন বুমরাহ। পোপ অফ স্টাম্পে দাঁড়িয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করলেও বুমরাহ করেন ইয়র্কার। ভারতের পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারির কাছে কোনো জবাবই ছিল না পোপের। তাতে উড়ে যায় ইংলিশ ব্যাটারের দুই স্টাম্প।

পোপকে আউট করার আগ পর্যন্ত সেভাবে ইয়র্কার করতে দেখা যায়নি বুমরাহকে। হুট করেই সেই সময় ইয়র্কার মারার কারণ জানিয়েছেন তিনি নিজেই। সেই সঙ্গে রিভার্স সুইংয়ে প্রতি বলেই ম্যাজিক্যাল ডেলিভারি করার প্রয়োজন দেখছেন না ডানহাতি এই পেসার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বুমরাহ বলেন, ‘ওই সময় কিছুটা রিভার্স সুইং হচ্ছিলো। যখন রিভার্স সুইং হবে তখন আপনাকে প্রতিটা বলই ম্যাজিক্যাল ডেলিভারি করার প্রয়োজন নেই।’

‘আমি বেশ কিছু বল করছিলাম যেগুলো ভেতরে পড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার মাথায় ঘুরতেছিল আমি কোথায় বল করবো। আমি কি লেংথ ডেলিভারি করবো নাকি আমার ইয়র্কার মারা উচিত। তখন পর্যন্ত আমি ইয়র্কার করিনি, তখন মনে হলো ঠিক আছে একটা সুযোগ নেয়া যাক। ওই বলটাতে অনেক সুইং হয়েছিল, এক্সিকিউশনটাও ভালো ছিল। সেটা নিয়ে আমি বেশ খুশি।’

পোপকে আউট করা ছাড়াও পুরো ইনিংসেই আগুনে বোলিং করেছেন বুমরাহ। দ্বিতীয় দিন সবটা আলো নিজের দিকে করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের এই পেসারের শিকার হয়েছেন বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, জো রুটরা। বুমরাহ ইনিংস শেষ করেছেন ১৫.৫ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে। দলের সেরা বোলার হলেও বুমরাহ জানান, যত উইকেটই নেয়া হোক না কেন পারফরম্যান্স দলের জন্য কতটা কাজে আসছে সেটাই তার কাছে মূখ্য।

বুমরাহ বলেন, ‘আপনারা আলোচনা করছেন কোন স্পেলটা ভালো হয়েছে। আমার কাছে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম, আপনি যদি আপনার দলের জন্য অবদান রাখতে পারেন; দলতে একটু এগিয়ে নিতে পারেন ওই পারফরম্যান্সটা আমার কাছে মূখ্য। ৬ উইকেট হেক কিংবা ২ উইকেট হোক সেটা দলের জন্য কাজে আসছে কিনা সেটা দেখার বিষয়। আপনি যদি দলকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারেন সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’