|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুধু পেসার হিসেবেই পরিচিত শন অ্যাবোট। তবে গত বছর টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্যাটিংটাও যে বেশ ভালো পারেন সেই প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবারও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন অ্যাবোট।

তার ৬৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংসেই ২৫৮ রানের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৭৫ রানে বেধে ফেলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ৮৩ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অজিরা।

সিডনিতে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ক্যারিবীয়রা। দিনের শুরুতে মনে হচ্ছিল সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে তারা। এদিন অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন। পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকানো ফ্রেজার ফেরেন পরের বলেই। আলজেরি জোসেফের গুড লেংথের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ১০ রানেই থামে তার ইনিংস।

আগের ম্যাচ হাফসেঞ্চুরি করা জশ ইংলিস, অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও এদিন ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৯ রান করা ইংলিসকেও ফেরান আলজারি জোসেফ। আর পাঁচ রান করা স্মিথ বোল্ড হয়েছেন ম্যাথু ফোর্ডের ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারিতে। এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান ক্যামরন গ্রিন। কিন্তু ৩৩ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন ওশান থমাসের বলে।

মার্নাস ল্যাবুসেন মাত্র ২৬ রান করে ফিরলে ৯১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এ সময় ম্যাথু শর্ট ৪১ আর অ্যারন হার্ডি ২৬ রানে ফিরলে দুশর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগে অজিদের। কিন্তু অ্যাবোটের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৫০ রান পার করে দলটি। তার চার ছক্কা ও এক চারের ইনিংস থামান রোমারিও শেফার্ড। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যান তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কোনায় লেগে বোল্ড হন অ্যাবোট।

সবশেষ অ্যাডাম জাম্পা ৮ ও জশ হ্যাজলউড ৪ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৫৮তে পৌঁছে দেন। ক্যারিবীয়ারনদের হয়ে গুড়াকেশ মোতি সর্বোচ্চ তিনটি, শেফার্ড দুটি ও ফোর্ড নিয়েছেন একটি করে উইকেট। জবাবে ক্যারিবিয়ানদের শুরুটা হয় বাজেভাবেই। দলীয় ৩৪ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

সফরকারীদের হয়ে ক্যাসি কার্টি সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। অধিনায়ক শাই হোপ ২৯ ও রেস্টন চেজ ২৫ রানে ফিরলে আর কেউ বলার মতো রান করেনি পারেননি। ক্যারিবীয়রা শেশ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ১৭৫ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জশ হ্যাজলউড ও অ্যাবট সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। উইল সাদারল্যান্ড দুটি ও হার্ডি, জাম্পা নিয়েছেন একটি করে উইকেট।