|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সবশেষ ১৩ ইনিংসে কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই শুভমান গিলের। সমালোচনা হচ্ছিল তার দলে থাকা নিয়ে। বিশাখাপত্তমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে সকল সমালোচনার জবাব দিয়েছেন গিল। ডানহাতি এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৩৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। এই লক্ষ্য তাড়া করতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংলিশদের। উপমহাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড আছে ইংল্যান্ডের।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরুও পেয়েছিল ইংলিশরা। তারা এক উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। তারা এখনও পিছিয়ে আছে ৩৩২ রানে। বিশাখাপত্তমে এদিন ১৭১ রানের লিড নিয়ে খেলতে নামেন ১৩ রানে অপরাজিত থাকা রোহিত শর্মা ও ১৫ রানে ইয়াশভি জয়সাওয়াল। কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসনের তোপে দিনের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত।

এদিন কোনো রান যোগ না করেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারতের অধিনায়ক। অ্যান্ডারসনের একই স্পেলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আগের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা জয়সাওয়াল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। এরপর ভারতের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার ও গিল। তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৭১ রানের জুটি। দারুণ শুরুর পর ২৯ রান করা আইয়ারকে ফেরান টম হার্টলি।

এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত রজত পাতিদার। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মত এই ইনিংসেও ব্যর্থ হন তিনি। রিহান আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে বেন ফোকসের গ্লাবস বন্দি হন তিনি। একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন গিল। এরপর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। এ সময় শোয়েব বশিরের বলে একরান নিয়ে নিজের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান গিল। কিন্তু বশিরের বলেই সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ভারতীয় এই ব্যাটার। অবশ্য প্রথমে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরায় ইংল্যান্ড।

১০৪ রানের ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও ১১টি চারের মার। এদিকে হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ৪৫ রানে ফেরেন প্যাটেল। হার্টলির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা কেএস ভারত ফিরেছেন মাত্র ৬ রান করে। এরপর কুলদিব যাদব ও জসপ্রিত বুমরাহকে শুন্য রানেই ফেরান হার্টলি।

সবশেষ রবিচন্দ্রন আশ্বিনের ২৯ রানে ২৫৫ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। রিহানের বলে আশ্বিন ক্যাচ আউট হলে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৯ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে হার্টিলি সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রিহান তিনটি, অ্যান্ডারসন দুটি ও বশির পেয়েছেন একটি উইকেট। জবাবে দিনশেষে ১৪ ওভার ব্যাট করেছে ইংল্যান্ড।

শুরুটাও ভালো হলেও দলীয় ৫০ রানেই বেন ডাকেটের উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। তার বল ডাকেটের ব্যাট, প্যাড হয়ে এজ হয়ে গেলে সেই ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক কেএস ভারত। দিনের শেষ বেলায় নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে উইকেটে আসেন রিহান। দিনের বাকি সময়টা কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ করে তারা। ক্রলি ২৯ ও রিহান ৯ রান করে অপরাজিত আছেন।