সদ্য সংবাদ
এইমাত্র পাওয়া: আ-হ-ত সাকিব, পূরণ হলো না নিজের স্বপ্ন

সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জীবনের গল্পটি একসময় ছিল স্বপ্ন ও আশা পূরণের পথে এগিয়ে চলা, কিন্তু হঠাৎ তা এক মর্মান্তিক বাস্তবতার আকার নেয়। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাজীপাড়া মহল্লায় জন্ম নেওয়া সাকিবের ছোটবেলা থেকেই বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সাকিব ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে মাঠে ক্রিকেট অনুশীলন করতেন সাকিব এবং তার প্রতিভার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করতে শুরু করেন তিনি এবং এই খেলা থেকে কিছু আয়ও শুরু হয়, যা তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে সাহায্য করত।
তবে তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় হওয়া। কঠোর পরিশ্রম এবং নিবেদিত অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি সেই স্বপ্ন পূরণের পথে ছিলেন। বর্তমানে তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগ দিয়েছেন।
কিন্তু ১৮ জুলাই, ২০২৩-এ সবকিছু বদলে গেল। ওই দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের বুলেটে গুরুতর আহত হন সাকিব। সৈয়দপুর শহরে এই আন্দোলনের সময় পুলিশের বুলেট তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে চোখে লাগে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়, কিন্তু বাম চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি। বাম চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ডান চোখের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে, যার কারণে তিনি অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন।
সাকিবের জাতীয় দলে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দূরের স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি এবং তার পরিবার জীবনের লড়াইয়ের এক কঠিন সময়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।
সাকিব জানান, ২০১৭ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর বড় দুই ভাই সংসারের হাল ধরেন। ক্রিকেট খেলে তিনি নিজের পড়ার খরচ চালাতেন। নীলফামারী জেলা ক্রিকেট দলে প্রথম বিভাগে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে খেলতেন তিনি। এখন তার একটি চোখের আলো হারানোর কারণে এবং অর্থাভাবে শিক্ষাজীবনও হারাতে হচ্ছে তাকে। সেই সঙ্গে জাতীয় দলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও ফিকে হওয়ার পথে।
সাকিবের বড় ভাই সাজু হাসান জানান, চিকিৎসকরা বলেছেন, দেশে তার চোখের কোনো চিকিৎসা নেই। দেশের বাইরে ভারতে নিয়ে গেলে তার বাঁ চোখ বাঁচানো যেতে পারে। এ জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। সে টাকা পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। তিনি সাকিবের চোখের আলো ফিরে পেতে সরকারসহ দেশের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাবেক ক্রিকেটার মোক্তার সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে সাকিবকে মাঠে অনুশীলন করাচ্ছি। সে আমার সিটি ক্রিকেট ক্লাবের নিয়মিত একজন খেলোয়াড়। আর এখন তাকে আবারও মাঠে ফেরাতে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সরকারিভাবে তার চিকিৎসার উদ্যোগ নিলে হয়তো পুনরায় মাঠে ফিরে আসতে পারবেন তিনি।’
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের তালিকা হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। নীলফামারী জেলা থেকেও একটি তালিকা পাঠানো হয়। আর এ নিয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো রকম দিকনির্দেশনা আসেনি। তবে আহত সাকিব মাহমুদুল্লাহর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করা হলে তার নাম তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ১২ ঘণ্টায় ১,০৫৭ জন পুরুষকে খুশি করলেন যুবতী
- সরকারি কর্মচারীদের পথ চিরতরে বন্ধ
- কবে চালু হবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা!
- বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা!
- বৃদ্ধের ট্রেনের নিচে ঝাঁ-প দেওয়ার আসল কারণ জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
- মেয়ের হবু বর নিয়ে উধাও মা!
- স্বর্ণের দাম কোথায় যাবে আগামী ৫ বছরে! যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ৮ রানে ৬ উইকেটের পতন, ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশ গড়ল লজ্জার রেকর্ড
- ফের দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা
- "নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"
- ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা: কোটি ডলারের বাণিজ্যে ধস, দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ
- আজকের সোনা ও রূপার দাম; ২১ এপ্রিল
- কেন বাংলাদেশে সকল রেল প্রকল্প স্থগিত করল ভারত
- কত টাকা থাকলে কোরবানি করা বাধ্যতামূলক