ব্রেকিং নিউজ: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের র*ক্ত*ক্*ষয়ী সং*ঘ*র্ষ, নি*হ*ত ২

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুইজন ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে, যা পুরো এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

নিহতরা হলেন চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মিয়া ও সাবেক নারী সদস্য কল্পনা বেগম। মানিক মিয়া বর্তমানে চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন এবং তিনি যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেলের চাচা। কল্পনা বেগম সাবেক নারী ইউপি সদস্য ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে, রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময়ে, কল্পনা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

রায়পুরা থানার ওসি আব্দুল জব্বার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে দলীয় কোন্দল চলছিল, যা শেষমেশ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের পরিবারে।

সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এলাকার এই সংঘর্ষের ঘটনা নরসিংদী জেলায় রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয় নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন, তবে আরও বড় ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।