ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথিদের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ০৯ ১৬:৩৬:০২
বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথিদের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি

বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট কিছু দেশের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভিসা প্রক্রিয়ায় কঠোরতা

সভায় উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব দেশের উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার আগে জমা দেওয়া নথিপত্র কঠোরভাবে যাচাই করা হবে। পাশাপাশি, এসব দেশের নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে তাবলিগ জামাতের শুরাকে নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যেসব দেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি প্রযোজ্য

সিরিয়া, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, ইরাক, সোমালিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান, সুদান, লিবিয়া, শাদ, মালি, তিউনিসিয়া, ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা আবেদনে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই নির্দেশনা বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোতে চিঠি আকারে প্রেরণ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব দেশের নাগরিকদের প্রাসঙ্গিক নথিপত্র যাচাইয়ের পরই ভিসা দেওয়া হবে।

ভিসার সময়সীমা ও শর্ত

বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিদেশি মেহমানদের সাধারণত ৩০ দিনের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে তাবলিগ জামাতের সুপারিশ অনুযায়ী এক চিল্লার জন্য ৫০ দিন এবং তিন চিল্লার জন্য ১৩০ দিন ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

প্রত্যেক মেহমানের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, জাতীয়তা, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট ইস্যু এবং মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ সমস্ত তথ্য ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) জমা দিতে হবে।

মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য বিশেষ নিয়ম

মিয়ানমারের নাগরিকরা টিআই ভিসা নিয়ে ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নতুন কমিটির গঠন

ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ভিসা অন-অ্যারাইভাল, প্রদেয় ভিসার মেয়াদ এবং নো ভিসা ফি রিকয়ার্ড বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইজতেমার সময়সূচি

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, যা তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়েরুল আহসানের অনুসারীরা আয়োজন করবেন। দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাদের অনুসারীদের আয়োজনে সম্পন্ন হবে। দুই পর্বের ইজতেমাই গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে।

নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ভিসা অন-অ্যারাইভাল প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, সেসব দেশের মুসল্লিদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সরকারের এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত