ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির দখলে

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১০ ১০:৫৪:০০
বাংলাদেশ সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির দখলে

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দেশটির বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখলের দাবি করেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর, আরাকান আর্মি মংডু শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার এলাকাও এখন তাদের অধীনে।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) এক প্রতিবেদনে, ৮ ডিসেম্বর (রোববার) মংডু শহর দখলের পর, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের সবকটি চেকপোস্ট ও অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। মংডু শহরের বাইরের বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৫, যেটি ছিল জান্তার সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি, তা কয়েক মাসের লড়াইয়ের পর গত রবিবার ভোরে দখল করেছে আরাকান আর্মি।

এই লড়াইয়ের পর, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এলাকাটির অন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর দাবি করেছে। এ সময় তারা জানায়, আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ), এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)-এর সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

মংডু শহরের যুদ্ধে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী এবং সরকারি সেনাদের পাশাপাশি সামরিক অপারেশন কমান্ড ১৫ এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলে রাখাইনের মিডিয়া জানায়।

আরাকান আর্মি মে মাসের শেষের দিকে মংডু আক্রমণ শুরু করে এবং পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রায় ছয় মাস সময় নেয়। বর্তমানে তারা বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারের তিনটি শহরেরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মংডু, বুথিডাং এবং চিন প্রদেশের পালেতোয়া। পালেতোয়ার সঙ্গে ভারতের সীমান্তও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের এই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের মানুষের দুর্দশা কমাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বাণিজ্য পুনঃস্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা, খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ সরবরাহে বাধা দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

আরাকান আর্মি বর্তমানে দক্ষিণ রাখাইনের গয়া, তাউনগুপ এবং আন শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য যুদ্ধ করছে, এমন খবরও পাওয়া গেছে। একটি সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, বাংলাদেশের সরকার যদি রাখাইন প্রদেশের জটিল রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে চায়, তাহলে আরাকান আর্মির সঙ্গে অর্থপূর্ণ সংলাপে বসা উচিত।

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে সীমান্তের নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

হামজার কারণে সিঙ্গাপুর হারল

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস খুবই উচ্চ পর্যায়ে। সিঙ্গাপুরের তুলনায় সব দিক থেকেই... বিস্তারিত