সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরলে আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথম ধাপে অন্তত ১৫ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিক।

আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সম্প্রতি ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় ১৭ হাজার ৯৪০ জন ভারতীয় রয়েছেন, যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তালিকাটি গত মাসে প্রকাশিত হয় এবং এতে উল্লেখ করা হয় যে, অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে ভারতীয়রা তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। মেক্সিকো এবং এল সালভাদর রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে।

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র একটি চার্টার্ড বিমানের মাধ্যমে অবৈধভাবে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠায়। ট্রাম্পের প্রশাসন এমন পদক্ষেপ আগে থেকেই শুরু করেছিল, এবং এটি ক্ষমতায় ফিরে আরও বাড়ানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইসিই-এর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে মার্কিন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতের সঙ্গে এ সমস্যার সমাধানে কাজ করতে চাইলেও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভারতকে ‘অসহযোগী দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অসহযোগী দেশের তালিকায় ভারতের পাশাপাশি রয়েছে ভুটান, মিয়ানমার, কিউবা, কঙ্গো, ইরিত্রিয়া, হংকং, ইরান, লাওস, পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, সোমালিয়া এবং ভেনেজুয়েলা।

ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায়, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরলে তিনি অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর হবেন। বিশেষ করে ভারতীয় অভিবাসীদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

এই তালিকা ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভারতীয়দের দ্রুত তাদের অভিবাসন প্রক্রিয়া বৈধ করা উচিত। অন্যথায়, তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে দেশে ফেরত পাঠানোর মুখোমুখি হতে পারেন।

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কেবল অভিবাসীদের জীবনে নয়, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।