ঢাকা, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: চরম উ*ত্তেজ*না, শত শত সে*নাসহ জে*নারেল আ*টক

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১৫ ১১:৫৩:৩২
ব্রেকিং নিউজ: চরম উ*ত্তেজ*না, শত শত সে*নাসহ জে*নারেল আ*টক

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্তবর্তী শহর মংডুতে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে তারা শহরের শেষ জান্তা ঘাঁটিটি দখলে নিয়েছে এবং কুখ্যাত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ শত শত সরকারি সৈন্যকে বন্দি করেছে। এ ঘটনায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

আরাকান আর্মি জানায়, টানা ৫৫ দিন যুদ্ধের পর গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) তারা মংডু শহরের বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখল করে। এই ঘাঁটি ছিল বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে জান্তা বাহিনীর শেষ প্রধান ঘাঁটি। দখল প্রক্রিয়ায় সরকারি বাহিনীর ৪৫০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আরাকান আর্মি। এছাড়া প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করার কথাও জানিয়েছে বিদ্রোহীরা।

আরাকান আর্মি জানায়, লড়াই শেষে জান্তার বেশ কয়েকজন সৈন্য পালিয়ে যায়। তবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ প্রায় ৮০ জন সৈন্যকে তারা আটক করেছে। থুরেইন তুন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক বিতর্কিত চরিত্র, যিনি ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর মান্দালেতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং রাখাইনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনায় জড়িত ছিলেন।

লড়াই চলাকালীন জান্তা সেনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে তাদের কঠিন অবস্থার কথা জানায়। তারা অভিযোগ করে যে, তিন মাস ধরে তারা কোনো সহায়তা পায়নি এবং তাদের ছেড়ে চলে গেছেন জেনারেল থুরেইন তুন।

সাবেক সেনা ক্যাপ্টেন জিন ইয়াও বলেছেন, ‘থুরেইন তুন তার ঊর্ধ্বতনদের কাছে বিশ্বস্ত থাকলেও তার অধীনস্থ সেনাদের প্রতি ছিলেন নির্দয়। তিনি পালিয়ে যাওয়া সৈন্যদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, অথচ সত্যিকারের পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতনদের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।’

মংডু দখলের মাধ্যমে আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এটি বিদ্রোহীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বিজয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরেইন তুনসহ আটক সেনাদের ছবি প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি। এছাড়া ঘাঁটি থেকে জব্দ করা বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা।

মংডুর মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই লড়াই জান্তা শাসনের জন্য বড় ধাক্কা। মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে সংঘাত নিরসনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে