ঢাকা, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

সারা বিশ্বে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া, মারা গেলেন বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তি

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১৫ ২৩:৪৯:১৩
সারা বিশ্বে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া, মারা গেলেন বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তি

বিশ্বখ্যাত তবলাবাদক ও সংগীতজ্ঞ উস্তাদ জাকির হোসেন আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ৭৩ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি তবলাবাদক হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর প্রথমে তার বন্ধু ও বাঁশিবাজ রাকেশ চৌরাসিয়া নিশ্চিত করেছেন।

উস্তাদ জাকির হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজস্থানের ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর এবং আরপিজি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা। রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর এক্স (পুরোনো টুইটার) এ লেখেন, “বিশ্ব তবলা গুরুকে হারিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। উস্তাদ জাকির হোসেন ভারতের বিশ্বব্যাপী সংগীতের প্রতীক ছিলেন।” হর্ষ গোয়েঙ্কা তার পোস্টে লেখেন, “তবলাবাদক উস্তাদ জাকির হোসেনের মৃত্যুতে সংগীত জগৎ শোকাহত। তিনি ভারতীয় সংগীতকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছেন।”

জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল যে, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তিনি মারা যান।

জাকির হোসেন ভারতীয় সংগীতকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার হাত ধরেই ভারত পেয়েছে গ্র্যামি পুরস্কার। তিনি ‘শক্তি’ ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার জয় করেন। ‘শক্তি’র অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’ ২০২৩ সালের ৩০ জুন মুক্তি পায় এবং এটি গ্র্যামি পুরস্কারের ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম’ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়। এই অ্যালবামে জাকির হোসেনের তবলা বাদন, শংকর মহাদেবনের কণ্ঠস্বর, এবং গণেশ রাজাগোপালনের বেহালা সঙ্গীত ছিল।

উস্তাদ জাকির হোসেন ১৯৫১ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়স থেকেই তবলার হাতে আঙুলের ছোঁয়া ছিল তার। সাত বছর বয়সে তিনি একা মঞ্চে তার প্রথম প্রদর্শনী করেন। ভারতের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, এবং পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত এই শিল্পী ভারতের সংগীতজগতে এক অমূল্য রত্ন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে