ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা খু*ন....

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ১৯ ২১:৫২:৪৯
এইমাত্র পাওয়া: পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা খু*ন....

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন শহিদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়ে তিনি এই দাবি করেন।

“এটি বিদ্রোহ নয়, পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড”

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, “এই ঘটনাকে বিদ্রোহ বলা যাবে না। এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকি আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাচ্চাদেরও বুট দিয়ে লাথি মেরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, তা কেউ কখনো জানতে পারবে না।"

মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। দেশের তুখোড় অফিসারদের হত্যা করে সামরিক শক্তিকে দুর্বল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।”

অভিযোগ করে তিনি বলেন, “ওই সময় কিছু সাংবাদিক শহিদদের দুর্নীতির অপবাদ দিয়েছেন, যা ছিল মিথ্যা। এই অপবাদ আমাদের জন্য চরম লজ্জাজনক। যদি কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটে, তাহলে তার প্রমাণ থাকতে হবে। এখন সেই প্রমাণ খুঁজে বের করা উচিত।”

তিনি প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত এবং বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, “আমাদের স্বজনদের এমন নির্মম মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রকৃত দোষীদের বিচার চাই।”

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র জমা দেন শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহিদ কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও প্রাণ হারান আরও অনেকে।

শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সবার দাবি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই নৃশংস ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে