ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ কৃষক, মৃ-ত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৬ ১৬:৫৪:৩৭
শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ কৃষক, মৃ-ত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে

একটানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরে দেড় লাখ কৃষক বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে পানিতে তলিয়ে গেছে পঞ্চাশ হাজার হেক্টর গাছপালা ও এক হাজার হেক্টর সবজির জমি। এছাড়া তলিয়ে গেছে পুকুরের মাছ। এদিকে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, নকলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সদর ও নকলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন আবারও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী জেলায় দুই হাজারের বেশি পুকুর ও মাছের খামার ভেসে গেছে। এই ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নেবেন তা নিয়ে চিন্তিত ভুক্তভোগীরা।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পানি পুরোপুরি নেমে গেলেই প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার জন্য তালিকা করেছে। যা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ ও ভারতের উপরিভাগ থেকে পাহাড় থেকে আসা পানির কারণে নতুন নতুন গ্রামে বন্যা হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে পানির উচ্চতা কিছুটা কমলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তঃত দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আম বাগান, মাছের পুকুর ও সবজি বাগান। এদিকে ভূমিধসে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শেরপুরের নকলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুধু তাই নয় নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ জেলার অন্তত ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার হেক্টর সবজির জমি। আর ডুবে গেছে দুই হাজারের বেশি মাছের ঘেড়।

শেরপুর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক ডা. সুকল্প দাস জানান, ‘ভূমিধসের কারণে তিন উপজেলার আমন ধান ও সবজির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি কমার ওপর। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’

অপরদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী বাঁধ ভেঙ্গে নদীর তীর উপচে পানি উপচে পড়ায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে