ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

নতুন ভা*ই*রা*স ডিঙ্গা ডিঙ্গা নিয়ে চারে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে আ*ত*ঙ্ক

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২০ ১৮:৪৬:০৬
নতুন ভা*ই*রা*স ডিঙ্গা ডিঙ্গা নিয়ে চারে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে আ*ত*ঙ্ক

উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলায় এক নতুন ভাইরাস ডিঙ্গা ডিঙ্গা নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এই অদ্ভুত ভাইরাসটি মূলত নারী ও কিশোরীদের বেশি আক্রমণ করছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জন মানুষ ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা শব্দের অর্থ "নাচের মতো কাঁপা"। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা শরীরে অস্বাভাবিক কাঁপুনি অনুভব করেন। এই বিশেষ লক্ষণ থেকেই ভাইরাসটির নামকরণ হয়েছে।

২০২৩ সালে প্রথমবার এই রোগ শনাক্ত হয়। কীভাবে এটি ছড়াচ্ছে, সেই বিষয়ে এখনো পরিষ্কার ধারণা মেলেনি। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসটির উৎস ও প্রতিকার খুঁজে বের করতে নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা যায়, যেমন:

শরীরের অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি

উচ্চমাত্রার জ্বর

নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া

সারা শরীরে তীব্র ব্যথা

মাথাব্যথা

শ্বাসকষ্ট

গুরুতর পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীর দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। এই ভাইরাসের উপসর্গ ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া কিংবা করোনাভাইরাসের মতো অন্যান্য রোগের সঙ্গে মিলে যায়, যা সঠিকভাবে রোগ শনাক্তে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

উগান্ডার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কিয়িটা ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, ডিঙ্গা ডিঙ্গার চিকিৎসায় বর্তমানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। ভেষজ ওষুধ কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন, ডিঙ্গা ডিঙ্গার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা এবং উপসর্গের কারণে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং উগান্ডার স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভাইরাসটির উৎস এবং কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা বের করতে কাজ করছেন। আক্রান্ত অঞ্চলে বিশেষ স্বাস্থ্য দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাস এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে এটির বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে