ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: ঢাকার অবস্থা ভ*য়া*ব*হ খারাপ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২১ ১০:৪০:২৩
এইমাত্র পাওয়া: ঢাকার অবস্থা ভ*য়া*ব*হ খারাপ

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমেই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকার স্কোর ছিল ২০৫, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অবস্থায়, বায়ুদূষণের বৈশ্বিক তালিকায় ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ঢাকার ভয়াবহ বায়ুদূষণ: কোন এলাকায় কত স্কোর?

আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ছয়টি এলাকা অত্যন্ত দূষিত বাতাসে শীর্ষে রয়েছে।

মার্কিন দূতাবাস এলাকা: স্কোর ২৫৩

মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং: স্কোর ২৪৬

আগা খান একাডেমি: স্কোর ২৪৫

গুলশান লেক পার্ক: স্কোর ২২৬

গুলশান ২ (রব ভবন): স্কোর ২২৬

কল্যাণপুর: স্কোর ২১১

বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরগুলো

শনিবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, যার একিউআই স্কোর ছিল ৩৪৬। এটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ক্যাটাগরিতে পড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর (২৩৫), তৃতীয় স্থানে ঢাকা (২০৫) এবং চতুর্থ স্থানে ঘানার আক্রা (২০৩)।

বায়ুমানের বিভিন্ন স্তর এবং এর মানে

একিউআই স্কোর অনুসারে বায়ুমানের মানদণ্ড এভাবে নির্ধারণ করা হয়:

০–৫০: ভালো

৫১–১০০: সহনীয়

১০১–১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর

১৫১–২০০: সাধারণভাবে অস্বাস্থ্যকর

২০১–৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর

৩০১ বা তার বেশি: দুর্যোগপূর্ণ

ঢাকার স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে থাকায় এটি সকল বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনজীবনে প্রভাব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, এমন দূষিত বায়ু শ্বাসযন্ত্র, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। শিশু ও বয়স্কদের পাশাপাশি যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।

বায়ুদূষণের এই অবস্থায় ঢাকার নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে। স্কুলগামী শিশু থেকে শুরু করে অফিসগামী ব্যক্তিরা এর নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছেন।

দূষণ কমাতে করণীয়

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য কিছু পদক্ষেপ হলো:

গাছ লাগানোর কার্যক্রম আরও জোরদার করা।

রাস্তায় ধুলা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানি ছিটানো।

পরিবহন খাতে দূষণ কমাতে ধোঁয়ামুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান।

শিল্পকারখানার বর্জ্য নির্গমন নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি।

জনসচেতনতা বাড়ানো এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তোলা।

বায়ুদূষণের বর্তমান অবস্থা শুধু ঢাকার নয়, বরং গোটা দেশের জন্য একটি বড় সংকেত। এখনই যদি বায়ুমান উন্নত করতে উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এই সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে