ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া : থম*থমে পরিস্থিতি, বিএনপি-জামায়াতের ভ*য়া*ব*হ সং*ঘ*র্ষ, আ*হ*ত ১০,সে*না*বা*হি*নী

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২১ ২১:২২:৪৫
এইমাত্র পাওয়া : থম*থমে পরিস্থিতি, বিএনপি-জামায়াতের ভ*য়া*ব*হ সং*ঘ*র্ষ, আ*হ*ত ১০,সে*না*বা*হি*নী

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঘাটা বাজারে এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উত্তেজনার সূচনাস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় বিএনপি একটি ইসলামি জলসার আয়োজন করে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে রাখা হয়। এর আগে একই এলাকায় ২৬ ডিসেম্বর জামায়াত সমর্থিত আব্দুল আজিজ আরেকটি ইসলামি জলসার আয়োজন করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, সেই জলসাতেও নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সংঘর্ষে আহতসংঘর্ষে বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম, এবং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমানসহ ছয়জন আহত হন। অন্যদিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সাতজন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে জামায়াতের আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং বিএনপির জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উভয় পক্ষের প্রতিক্রিয়াবিএনপির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।” তবে জামায়াতের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

প্রশাসনের পদক্ষেপসাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনেন। “বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে,” বলেন ওসি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে