মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন করে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ৯০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ। দেশটির সরকার জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী ২৫ লাখ কর্মীর সীমার মধ্যে এখনও প্রায় ৯০ হাজার জায়গা ফাঁকা রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নিয়োগ সম্পন্ন করা হতে পারে।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল জানিয়েছেন,

“বর্তমানে দেশটিতে ২৪ লাখ এক হাজার নিবন্ধিত বিদেশি কর্মী রয়েছেন। কর্মসংস্থানের সীমা অনুযায়ী আরও ৯০ হাজার কর্মী নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে এই নিয়োগ সীমা ছাড়াবে না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেপ্টেম্বর থেকে নতুন আবেদন স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কৃষি, বাগান, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা খাতের চাহিদা বিবেচনা করে ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে।

বিশেষত কৃষি ও বাগান খাতে শ্রমিকের ঘাটতি সবচেয়ে প্রকট। প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটি মন্ত্রী জোহারি আবদুল গনি এ প্রসঙ্গে বলেন,

“বাগান খাতে শ্রমিক সংকট দূর করতে বিদেশি কর্মী আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি, যাতে শিগগিরই এই খাতের চাহিদা পূরণ হয়।”

এছাড়াও উৎপাদন, নির্মাণ এবং সেবা খাতেও কিছুটা শ্রমিক সংকট রয়েছে। মন্ত্রণালয় এসব খাতের চাহিদা পুনর্মূল্যায়ন করছে।

মালয়েশিয়ার মোট কর্মীসংখ্যার ওপর নির্ভর করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেই সীমার এক লাখ জায়গা খালি রয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনের ভিত্তিতে এ খাতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাইফুদ্দিন নাসিশন ইসমাইল আরও বলেছেন,

“স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় খাতের জন্য শ্রমিক আনতে আলোচনা চলছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বিদেশি কর্মী নিয়োগ মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষত কৃষি ও বাগান খাতে বিদেশি শ্রমিকের ঘাটতি পূরণ করা গেলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ডিসেম্বরের মধ্যে ৯০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে কৃষি ও বাগান খাতের সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।