ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হচ্ছে সব ধরনের খেলাধুলা!

ক্রিকেট ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২১ ২৩:৫৮:১২
ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হচ্ছে সব ধরনের খেলাধুলা!

সম্প্রতি এক বুদ্ধিজীবীর মন্তব্য, যেখানে তিনি ফুটবলসহ খেলাধুলাকে অবমূল্যায়ন করে বলেছেন, “একটা বলের পেছনে ১১ জন দৌড়ায়, আর সেটা কোটি কোটি মানুষ দেখে। এর মানে কী?”—এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। খেলাধুলার মূল উদ্দেশ্য, এর সামাজিক প্রভাব, এবং খেলোয়াড়দের অবদানের ব্যাপারে অনেকেই মত দিয়েছেন।

বক্তব্যে বলা হয়, একটি বলের পেছনে ১১ জন দৌড়ায়, যা সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে গণমাধ্যম হাজারো দর্শকের কাছে তুলে ধরে। এমন বক্তব্যে ক্রীড়াপ্রেমীরা বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, খেলাধুলার তাৎপর্য কি শুধুই বিনোদন?

একজন ক্রীড়া বিশ্লেষক এই বক্তব্যের ভুল সংশোধন করে বলেন, “ফুটবল মাঠে শুধু ১১ জন নয়, দুই দলের ২২ জন খেলোয়াড় এবং তিনজন রেফারি কাজ করেন। এটি শুধু খেলা নয়; এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা, দলীয় সংহতি এবং প্রতিযোগিতার মূল্যবোধ শেখানো হয়।”

বিশ্বজুড়ে খেলাধুলার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি পেলে। তিনি একবার নাইজেরিয়ার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির শর্তে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন, যা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত সাময়িকভাবে থামাতে সাহায্য করেছিল।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ক্রিকেট মাঠের বাইরে রাজনীতিতে এসে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হয়ে উঠেছেন। তার এই রূপান্তর প্রমাণ করে, একজন ক্রীড়াবিদ কেবল খেলায় সীমাবদ্ধ থাকেন না; সমাজে তার প্রভাব গভীর।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা শুধু মাঠেই নন, সমাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় নুরুল হাসান সোহান, যিনি তখনো হাতের সার্জারি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হননি, শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে সমর্থন জানান।

সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা অসাধারণ ক্রীড়া চেতনার উদাহরণ দিয়েছেন। প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড় আহত হলে, রান নেওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা সেই রান নেননি। এটি স্পিরিট অফ দ্য গেমের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

বক্তব্যের সমালোচকরা বলেন, “যারা কখনো বল নিয়ে খেলেননি বা ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি, তাদের পক্ষে খেলাধুলার গভীরতা বোঝা অসম্ভব।” খেলাধুলা শুধু শারীরিক দক্ষতার প্রদর্শন নয়; এটি তরুণ প্রজন্মকে মাদক, অপরাধ এবং কিশোর গ্যাং থেকে দূরে রাখার একটি কার্যকর মাধ্যম।

যে গণমাধ্যম খেলাধুলার প্রতিটি মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করে, তারাই সমাজে খেলার গুরুত্ব বাড়াতে সহায়তা করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী খেলাধুলা মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা কোটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।

এই বিতর্ক থেকে স্পষ্ট হয়, খেলাধুলার প্রতি অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য কেবল অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করে। খেলাধুলা শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে, শান্তি স্থাপন করে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে চালিত করে। বলের পেছনে দৌড়ানো মানুষদের গল্প আসলে একটি জাতির গৌরব ও আশা তৈরি করে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে