চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান মধ্যে চলা তুমুল আলোচনা এবং তর্ক-বিতর্ক শেষে, অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারের টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে হবে। পাকিস্তান কর্তৃক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত করার পর, ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে এই প্রতিযোগিতা, যা শেষ হবে ৯ মার্চ। যদিও আইসিসি ইতিমধ্যেই একটি খসড়া সূচি প্রকাশ করেছে, তবে এটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।

বাংলাদেশও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে, এবং তাদের গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিরুদ্ধে। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি যে কঠিন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশেষত যখন টাইগাররা সম্প্রতি এশিয়া কাপ জিতে ভারতকে হারানোর স্বাদ নিয়েছে। ভারতীয় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখনই মুখোমুখি হয়েছে, তখন তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড দলের নতুন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার, এবং এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ হতে পারে। কিউইদের বিরুদ্ধে জয় পেলে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে। পাকিস্তান শক্তিশালী পেস আক্রমণ এবং ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী দল তৈরি করেছে, তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশের তিনটি বিভাগেই নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।

এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এখনও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত নয়, তবে টাইগার ভক্তরা আশা করছেন, তাদের এই দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় স্কোয়াডে থাকবেন। তামিম তার সাম্প্রতিক এনসিএল পারফরম্যান্সে প্রমাণ করেছেন যে তিনি এখনও ফর্মে আছেন, আর সাকিব বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের উপস্থিতি বাংলাদেশকে শক্তিশালী করবে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো পারফরম্যান্সের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেবে।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ, এবং যদি দলটি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে, তাহলে তারা যে কোনও দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।

তামিমের ফেরা নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন,

“তামিম অবসর নেয়নি। নির্বাচকরাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সে যদি খেলার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে তাকে প্রয়োজন, তবে সে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে থাকবে।”

এর আগে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আশার কথা শোনান। তিনি বলেন,

“তামিম মাঠে ফিরেছে, যা ইতিবাচক। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেই তার ভবিষ্যৎ ঠিক করা হবে। তবে এখনই কিছু বলা মুশকিল।”

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্ভাব্য সের স্কোয়াড:

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত(অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ/রিশাদ হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা/শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

স্টান্ড বাই: সাইফুদ্দিন, ইবাদত হোসেন, মাহাদী হাসান।