ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ, জেনেনিন কী বলছে আইন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৪ ১৩:১৬:২৩
ব্রেকিং নিউজ: নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ, জেনেনিন কী বলছে আইন

বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্ট মাসে ঘটিত পরিস্থিতির পর, অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে গুঞ্জন উঠেছে এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেমন বিএনপি, নির্বাচন নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, পরবর্তী নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে জনমনে অজানা প্রশ্ন রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এরপরেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে—গণঅভ্যুত্থান ও ক্ষমতাচ্যুতির পর, আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না?

শাহাদাত রিফাতের মতে, ছাত্রজনতার গণ আন্দোলন ও শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ায় আওয়ামী লীগ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায়, আওয়ামী লীগ বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়েও আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে এমন একটি অবস্থানে দাঁড়িয়ে, যেখানে তাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ১৯ ডিসেম্বর রংপুরে এক অনুষ্ঠানে জানান, "এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চাই, যেখানে সব দলই অংশগ্রহণ করতে পারবে।" তবে তার এই বক্তব্যের পরেই, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয়। তাদের বক্তব্য, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে তা জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের অবমূল্যায়ন হবে। তারা আরও অভিযোগ করে যে, আওয়ামী লীগ প্রায় ২০০০ শহীদের প্রাণ ও ৩০,০০০ মানুষের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে, এবং তারা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে।

এদিকে, ২০ ডিসেম্বর রাতে বদিউল আলম মজুমদার তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, "কোনো দলকে যদি নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিবন্ধন রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।" তিনি আরও বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বহু মামলা চলছে, এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন কার্যক্রম এসব মামলার রায় অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।"

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা জানান, যদি কোনো রাজনৈতিক দল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় বা নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হয়, তবে তাদের নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যদি কেউ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে গত তিন মাসে প্রায় ২০০ অভিযোগ জমা পড়েছে, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে। আদালত এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করবে তাদের নির্বাচনী ভবিষ্যৎ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে