ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

আবারও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষকদের কক্ষে তালা অতপর যা ঘটলো

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ ডিসেম্বর ২৫ ১৭:৩০:৫৩
আবারও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষকদের কক্ষে তালা অতপর যা ঘটলো

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধিতা করা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবারো উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তাপ ছড়ালেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিয়ে আন্দোলনের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নেন শেকৃবির কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক দেবু কুমার ভট্টাচার্য, ওয়ালী আহাদ সেতু এবং মো. জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া ছিলেন অন্যতম। ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা ও শান্তি সমাবেশ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছিল।

আন্দোলনের সাড়ে চার মাস পরেও এ ঘটনায় কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করলেও এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

সম্প্রতি আন্দোলনবিরোধী ভূমিকা রাখা কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদল কর্মী জিব্রিল শরীফ বলেন, "যেসব শিক্ষক সরাসরি আমাদের আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।"

তবে ছাত্রদলের শেকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, "এ ঘটনার সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগ।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরফান আলী বলেন, "শিক্ষকদের কক্ষে তালা লাগানোর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।"

আন্দোলনবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ড. সালাহ উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী জানান, "তদন্ত শেষের পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।"

৫ আগস্টের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে দাপ্তরিকভাবে জানালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।"

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, আন্দোলনের সময় তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা এখনো সক্রিয় এবং সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল শিক্ষকদের হতাশ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, এ ধরনের ঘটনাগুলোর দ্রুত সমাধান না হলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে