ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১

পিলখানা হ ত্যা কা ণ্ড নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ০১ ১১:৩৫:৩৬
পিলখানা হ ত্যা কা ণ্ড নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি এবং শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাতে তিনি বলেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য উন্মোচন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকার তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে।”

ড. ইউনূস এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকে “জাতীয় দায়িত্ব” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এমন নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে জাতি কখনোই এই কলঙ্ক মুছতে পারবে না।” তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব, আমরা সব তথ্য একত্রিত করে তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করব। শহীদ পরিবারের জন্য এটি ন্যায্য অধিকার।”

তিনি তথ্য গোপনের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “একটি জাতীয় ট্র্যাজেডির তদন্তে এত দীর্ঘসূত্রতা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য। এটি অবিলম্বে শেষ করতে হবে।”

শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্বের কথা তুলে ধরেন।

পুনর্বাসন: সেনানিবাসের মইনুল রোডে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ হয়নি।

সুবিধা: শহীদ পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকারও রক্ষা করা হয়নি।

এক শহীদ সেনা কর্মকর্তার মেয়ে বলেন, “প্রতিবারই আমাদের বলা হয়, কাজ হবে। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও কিছুই বদলায় না। আমরা কেবল আশার দোলাচলে আছি।”

সাক্ষাতে উপস্থিত অন্যান্য উপদেষ্টারাও শহীদ পরিবারের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

উপস্থিত উপদেষ্টারা হলেন:

আইন উপদেষ্টা: আসিফ নজরুল

শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা: আদিলুর রহমান খান

পরিবেশ উপদেষ্টা: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা: মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা: আসিফ মাহমুদ

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। এই ঘটনার পর থেকে শহীদ পরিবারের দাবিগুলো পূরণে গতি আনতে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠে আসছে।

ড. ইউনূস বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং শহীদ পরিবারের দাবি পূরণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

তাঁর এই বক্তব্য শহীদ পরিবারের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে। জাতি এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সত্য উন্মোচন এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে