সদ্য সংবাদ
এইমাত্র পাওয়া: যে কারণে চাকরি হারাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ কোরিয়া, যা একসময় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য একটি স্বর্ণযুগের মতো ছিল, বর্তমানে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এক সময় এখানে চাকরির জন্য বাংলাদেশি কর্মীদের প্রচুর চাহিদা ছিল, এমনকি রাতারাতি চাকরি বদলানোও সহজ ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আজকাল কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া আগের মতো সহজ নয়।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো ভাষাগত সমস্যা। কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা না থাকলে চাকরির বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া কোরিয়ান খাবারের প্রতি অভ্যস্ত না হওয়া এবং নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতি রেষারেষি মনোভাবও কাজ করছে, যা কার্যকরভাবে কাজ করার পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। এই কারণে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিকই প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করতে পারলেও বেশিদিন টিকতে পারছেন না।
বর্তমানে কোরিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং। কোরিয়ার মুদ্রা 'উওন' ডলারের তুলনায় ব্যাপকভাবে দরপতন হওয়ায় দেশটির শিল্প ও বাণিজ্য খাতে প্রভাব পড়ছে। এর পাশাপাশি, প্রচণ্ড শীত এবং তুষারপাতের কারণে অনেক কোম্পানিতে কাজের চাপ কমে গেছে, ফলে কর্মীদের ছাঁটাই করার প্রবণতা বেড়েছে। এই কারণে চাকরি হারানো অনেকের জন্য খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোরিয়ায় চাকরি হারানোর পর যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা হলো মাথা গোঁজার ঠাঁই হারানো। বেশিরভাগ কোম্পানিতে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়, তাই চাকরি হারানোর পর থাকার ব্যবস্থা সঙ্কটে পড়েন তারা। যদিও কিছু মসজিদ এবং শেল্টারে তাদের থাকার সুযোগ থাকে, তবে সেখানে নতুন চাকরি খুঁজে পেতে তেমন কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। এ পরিস্থিতিতে কর্মীদের জন্য জীবিকা নির্বাহ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
কোরিয়ায় চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ কঠিন। এখানে কোনো মালিক ইচ্ছামতো শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারেন না, আবার কোনো কর্মীও নিজের ইচ্ছামতো অন্য কোম্পানিতে চাকরি শুরু করতে পারেন না। চাকরি পেতে হলে জব সেন্টার বা 'নোদুংবু'র মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। মালিকরা যদি কর্মী চান, তাহলে তাদের জব সেন্টারে আবেদন করতে হয় এবং জব সেন্টার থেকে সেই কর্মীদের নির্বাচিত করে কোম্পানিতে যোগদান করানো হয়।
বর্তমানে, দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরি হারানো এবং কর্মসংস্থান না পাওয়ার কারণে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক হতাশার মধ্যে রয়েছেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে বাংলাদেশিদের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়ায় অনেকেই কাজের সুযোগ পেতে পারছেন না। এর ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে, যার সমাধান প্রয়োজন।
এ মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, সামাজিক সংগঠন এবং স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, কোরিয়ার শ্রমবাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যতের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে কর্মীরা সহজেই চাকরি খুঁজে পেতে পারেন এবং এই সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারেন।
এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সহায়তা করা এবং তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার পরিস্থিতি এড়াতে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ব্রেকিং নিউজ: সেনাবাহিনীর হাতে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গ্রেফতার, বেরিয়ে আসলো আসল তথ্য
- এইমাত্র পাওয়া: চরম দু:সংবাদ, ভিসা বন্ধ করল....
- এইমাত্র পাওয়া : আওয়ামী লীগের ঈদের খুশি
- ব্রেকিং নিউজ: ভিসা ও ইকামা ফি নিয়ে নতুন ঘোষণা সৌদি আরব, আসলো নতুন নিয়ম
- ব্রেকিং নিউজ: মহাসমাবেশের ডাক, মাঠে নামছে লাখ লাখ মানুষ
- এইমাত্র পাওয়া : আরব আমিরাতে ভ য়া ব হ বিমান বি ধ্ব স্ত, নি হ তের সংখ্যা বেড়ে
- বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা, শিক্ষার্থীকে পিটানোর পর প্রফেসরের গায়ে হাত তুললেন এক সমন্বয়ক
- ব্রেকিং নিউজ: ঢাকায় ভ য়া ব হ সং ঘ র্ষ: নিহত ৪, আহত ৫
- আজ ১/১/২০২৫ তারিখ, দেখেনিন আজকের ১৮, ২১, ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- আওয়ামী লীগের ঘাটি জেলা: দেশের ৫০টি আসনে নৌকার জয় প্রায় নিশ্চিত
- এইমাত্র পাওয়া : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা চালু করলো.......
- ব্রেকিং নিউজ: আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের জন্য আসলো নতুন ঘোষণা
- ব্রেকিং নিউজ: চট্টগ্রামে ভ য়া ব হ সং ঘ র্ষ, আহত ২০
- ব্রেকিং নিউজ: অবিশ্বাস্য কারণে সব ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ ঘোষণা
- কমলো তেলের দাম, দেখেনিন কেরোসিন-পেট্রোল-অকটেন- ও ডিজেলের মুল্য তালিকা