প্রবাসীদের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত হয়রানি কমাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে প্রবাসীরা দূতাবাসে ভিড় না করেই এসএমএসের মাধ্যমে পাসপোর্টের অবস্থা জানতে পারবেন। সরকারের এই উদ্যোগ প্রবাসীদের জীবনে স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের পাসপোর্ট সমস্যার সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নতুন এই পদ্ধতি তাদের হয়রানি থেকে মুক্তি দেবে এবং দূতাবাসের চাপও কমাবে।”

সরকার ইতোমধ্যে প্রবাসীদের ১ লাখ ৯৭ হাজার এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) আবেদন থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৫টি পাসপোর্ট প্রিন্ট করেছে। এগুলো দ্রুত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।

পাসপোর্ট ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে সরকার ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে প্রবাসীদের পাসপোর্টসংক্রান্ত সব জটিলতা চিরতরে দূর হবে বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল জানান, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পাসপোর্ট সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। এরপর অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের জন্যও ধাপে ধাপে এই সেবা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে এত বেশি এমআরপি পাসপোর্ট প্রিন্ট করা হচ্ছে যে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে। যারা আবেদন করেছেন, তারা খুব শিগগিরই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।”

সরকারের এই পদক্ষেপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এক নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে। সহজতর পদ্ধতির মাধ্যমে তারা এখন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি প্রবাসীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় করার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রা আরও সহজ করে তুলবে।

সরকারের এমন উদ্যোগকে প্রবাসী মহল থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে এবং এটি দেশের সেবা খাতে এক বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।