সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর। দীর্ঘদিন ধরে দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বর্ধিত এই ভাতা কার্যকর হবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী গ্রেডভিত্তিক হারে ভাতা প্রদান করা হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা গ্রেড অনুসারে ভিন্ন হারে নির্ধারণ করা হয়েছে।

১ম থেকে ৩য় গ্রেড: মূল বেতনের ১০%।

৪র্থ থেকে ১০ম গ্রেড: মূল বেতনের ২০%।

১১তম থেকে ২০তম গ্রেড: মূল বেতনের ২৫%।

এতে সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি পাবে। তবে কোনো চাকরিজীবী ৪,০০০ টাকার কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন না।

সরকারি পেনশনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই মহার্ঘ ভাতার আওতায় থাকবেন। বর্ধিত এই ভাতা ইনক্রিমেন্টের সময় মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে।

মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হলে, পূর্বে দেওয়া ৫% বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্ধিত এই ভাতা বাস্তবায়নে উন্নয়ন বাজেট থেকে অর্থায়ন করা হবে।

২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের পর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায় মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর দাবি উঠেছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও বলেন, “চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে সরকার আন্তরিক। নির্ধারিত হার অনুযায়ী ভাতা কার্যকর হবে এবং এর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

বর্ধিত ভাতার ফলে প্রায় ২২ লাখ সরকারি চাকরিজীবী উপকৃত হবেন। যদিও উন্নয়ন বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবুও সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপ চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা লাঘব হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এটি একটি বড় সুখবর, যা তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।