ঢাকা, সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: সীমান্তে উত্তেজনা, মুখ খুললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৩ ২৩:১২:৪৫
ব্রেকিং নিউজ: সীমান্তে উত্তেজনা, মুখ খুললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ঘটে এক ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে উত্তাপ ছড়াতে থাকে। বিশেষ করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো ইস্যুতে এই টানাপোড়েন আরও বৃদ্ধি পায়। এমন প্রেক্ষাপটে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

১৩ জানুয়ারি ভারতের সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে এবং একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কোনো পক্ষেরই এমন কিছু করা উচিত নয়, যা পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের একটি ছোট অংশ বাদে পুরো সীমান্তজুড়ে আমাদের সংযোগ। তাই আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিবর্তন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানান, ওই সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। “পরিবর্তনের সময়ও আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। এমনকি গত বছরের ২০ নভেম্বর আমাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সও অনুষ্ঠিত হয়,” তিনি বলেন।

জেনারেল দ্বিবেদী এও জানান, দুই দেশের সেনাবাহিনী বর্তমানে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। “আমাদের মধ্যে কোনো বৈরিতা নেই। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো এবং ভবিষ্যতেও তা স্থিতিশীল থাকবে,” তিনি আশ্বস্ত করেন।

এর আগে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ন্যায্যতার ভিত্তিতে উন্নয়ন চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। জনগণ যেন মনে না করে যে ভারত আমাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে বা আমাদের স্বার্থ উপেক্ষা করছে।”

ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে সেই মতামতের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব উভয় দেশের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত ইস্যুতে উত্তেজনা দেখা গেছে, সেনাপ্রধানদের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সামরিক বাহিনীর সম্পর্কের ইতিবাচকতা দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর সমঝোতার পথ তৈরি করবে বলে আশা করা যায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে