ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

এনবিআরের নতুন আদেশ: এলপিজি উৎপাদনে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৪ ১২:০৮:১১
এনবিআরের নতুন আদেশ: এলপিজি উৎপাদনে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট

এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) উৎপাদনে ভ্যাট নিয়ে জটিলতা দূর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি বিভাগ থেকে এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়, যা কার্যকর ধরা হয়েছে গত ৯ জানুয়ারি থেকে।

এনবিআরের নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে এলপিজির উৎপাদনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর অতিরিক্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আগে তফসিলভুক্ত পণ্য হিসেবে এলপিজির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাটের পাশাপাশি আড়াই শতাংশ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তফসিল থেকে এলপিজি বাদ পড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য হয়। এই অবস্থায় ভ্যাট আদায় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় এনবিআর বিষয়টি স্পষ্ট করতে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করে।

এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাসাবাড়ি, যানবাহন, এবং শিল্পকারখানায় এলপিজি জ্বালানি হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় বিভিন্ন শিল্পে এলপিজির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। শিল্পখাতকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এবং এলপিজি সহজলভ্য করতে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাটের অতিরিক্ত কর তুলে নেওয়া হয়েছে।

নতুন ভ্যাট হার কার্যকর হলেও এলপিজি ব্যবহারে খরচ বাড়ার আশঙ্কা করছেন ভোক্তা ও শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী এবং পোশাকশিল্প ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট হার দিয়ে সরকার ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দিয়েই রাজস্ব আহরণের চেষ্টা করছে।

এনবিআর মনে করে, এই সিদ্ধান্তের ফলে এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে স্থিতিশীলতার কারণে এলপিজি ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পাবে।

নতুন এই নীতিমালার মাধ্যমে উৎপাদক ও ব্যবহারকারীদের মধ্যকার বিভ্রান্তি দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এলপিজির দাম যাতে আরও বেশি না বাড়ে, সে বিষয়ে নজরদারি এবং সরকারের সহযোগিতা আশা করছেন উদ্যোক্তারা।

এনবিআরের এই উদ্যোগ এলপিজি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে উৎপাদন ও ব্যবহারে ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে