ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুন, জেনে নিন কত দরে বিক্র্রি হচ্ছে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৪ অক্টোবর ০৮ ২০:০৫:০৯
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুন, জেনে নিন কত দরে বিক্র্রি হচ্ছে

এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৮০-২২০ টাকা দরে ​​কেনা যেত। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বাড়ছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) ফরিদপুরের বিভিন্ন খুচরা বাজারে কালো মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়।

কৃষি অফিস বলছে, মরিচ চাষের বন্ধ মৌসুম থাকায় বাজারে মরিচের সরবরাহ কম। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কালো মরিচের ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে কালো মরিচের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এবং আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে কালো মরিচের দাম বেড়েছে।

ফরিদপুর শহরের হাজী শরীয়ত উল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী চুন্নু মন্ডল জানান, স্থানীয় তাম্বুলখানা বাজার থেকে প্রতি কেজি কালো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আমদানি বন্ধ থাকায় কালো মরিচের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, বাজারে মরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমান পাইকারি দাম প্রতি কেজি ৩২০ টাকা।

নগরীর অম্বিকাপুর বাজারে এক কেজি খুচরা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বাবুল শেখ জানান, সকাল ১০টা থেকে তিনি প্রতি কেজি কালো মরিচ ৩৬০ টাকা দরে ​​কিনে বাজারে ১০০ টাকা দরে ​​বিক্রি করছেন।

ক্রেতারা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের জীবন এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচের দাম এভাবেই বাড়তে থাকলে সংসার চলবে কী করে? কারণ রান্নার জন্য আপনার কালো মরিচ দরকার। এখন কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। তবে ক্রেতারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলছেন, বাজারে নিরপেক্ষ মনিটরিংয়ের অভাবে পণ্যের দাম বাড়ছে।

ক্রেতারাও জানান, গত সপ্তাহে মরিচের দাম কম ছিল। এক সপ্তাহে দাম প্রায় দ্বিগুণ। এটা কেমন হয়, দাম বাড়লে অর্থাৎ দ্বিগুণ হলে বুঝতে হবে এটা সিন্ডিকেটের কারণে।

এদিকে ফরিদপুর জেলার মধ্যে মধুখালী উপজেলা কালো মরিচ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। মধুখালী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দুই হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে কালো মরিচের আবাদ হয়েছে। গত বছর দুই হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছিল।

মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মধুখালী উপজেলায় চাষ করা কালো মরিচ একটি মৌসুমি মসলা ফসল। মরিচের মৌসুম এখন প্রায় শেষ। কৃষকরা এখন মরিচের জন্য কুমড়া ও শসা চাষ করছেন।

তিনি আরও বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাসে মধুখালীতে কালো মরিচের আবাদ হয়। এ এলাকার উচ্চতা বেশি হওয়ায় কৃষকরা কালো মরিচ চাষ করে। জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে এর ফলন পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে এর ভালো ফলন থাকলেও এ বছর ফলন ভালো হয়নি।

মধুখালী উপজেলার মরিচ চাষীরা জানান, এ বছর মরিচ চাষে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন তারা। প্রথমে খরায় গাছপালা নষ্ট হয়, তারপর বৃষ্টিতে ফলন নষ্ট হয়। মধুখালী বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স জয় ভান্ডারের মালিক মির্জা আবু জাফর বলেন, বাজারে এখন আর কালো মরিচ নেই। এখন যে কালো মরিচ আসছে তা ঝিনাইদহ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে।

এ কথা জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহদুজ্জামান বলেন, এখন মরিচের মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে উঠা মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে কালো মরিচের দাম বেড়েছে।

ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেক দিন ধরে কাজ করছি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল থেকে নিয়মিত মনিটরিং শুরু করব।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে