ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের সীমাহীন দু র্নী তি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১৫:৫৭:০৪
শামীম ওসমান ও নানক পরিবারের সীমাহীন দু র্নী তি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার স্ত্রী ও ছেলে এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শামীম ওসমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। একইভাবে, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম এবং ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের বিশেষ তদন্ত টিম দীর্ঘদিন ধরে শামীম ওসমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক পরিবারের সম্পদের হিসাব অনুসন্ধান করে। তদন্তে তাদের আয়কর নথি এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য পাওয়া যায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তাদের সম্পদের বড় একটি অংশের বৈধ কোনো উৎস নেই।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শামীম ওসমান ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি এবং ব্যাংক হিসাবের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। একইভাবে, নানক পরিবারের সম্পদের তথ্যেও অসংগতি দেখা গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এসব সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, "আমরা যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান বরাবরই কঠোর। অভিযুক্তদের সম্পদের উৎস এবং অন্য সব বিষয় গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।"

দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে। তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

শামীম ওসমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক উভয়েই আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে এই মামলাগুলো আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে।

এই মামলাগুলোর ব্যাপারে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই আশা করছেন, এই পদক্ষেপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তবে এর কার্যকারিতা নির্ভর করবে তদন্তের স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচারের ওপর।

উল্লেখ্য, শামীম ওসমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে