ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রথম ওয়াজ মাহফিল, সারা দেশে আলোচনার ঝড়

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৭ ১৬:২৫:৫২
হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রথম ওয়াজ মাহফিল, সারা দেশে আলোচনার ঝড়

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমাজকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রথমবারের মতো ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি ২০২৫), কুমিল্লার দেবিদ্বারে আয়োজিত এই মাহফিলে তিনি সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরে উপস্থিত হন। তাঁর বক্তব্যে সুদবিরোধী বার্তা এবং ইসলামের জীবনদর্শনের উপর জোর দেওয়ার ফলে মাহফিলজুড়ে ব্যাপক সাড়া পড়ে।

মাহফিলে নিজের বক্তব্য শুরুতেই হাসনাত বলেন,"কার কাছে অপ্রিয় হলাম, কার পছন্দ হলো না সেটা মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে আমার ইসলাম আমাকে কী শিক্ষা দেয়।"তিনি আরও বলেন,"আমার দীন আমাকে যা শিক্ষা দেয়, সেটাই মেনে চলতে হবে, যদিও তা কারও অপছন্দের হতে পারে।"এই কথাগুলো মুসল্লিদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।

হাসনাত তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, দেবিদ্বার এলাকায় প্রচলিত অর্থনৈতিক পদ্ধতিতে সুদের ব্যাপকতা রয়েছে, যা সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন,"আমি নিজেও এই গ্রামের মানুষ। আমাদের পরিবার এবং আশপাশের অনেকেই একসময় সুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু যখন বুঝেছি এবং আলেমদের পরামর্শ নিয়েছি, তখন থেকেই আমরা এই পথ থেকে সরে এসেছি।"

তিনি আরও বলেন,"এই যে আমরা দেখি টাকা থেকে টাকা বৃদ্ধি পায়, এটি অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা সুদকে বন্ধ করে দিন।"তিনি মুসল্লিদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন,"আপনারা আমাদের সহায়তা করলে আমরা চেষ্টা করব সামাজিক ঋণ ব্যবস্থা সহজলভ্য করার।"

হাসনাত ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন,"ইসলাম কেবল পরকাল নয়, দুনিয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেয়। আমাদের জীবনে এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে।"

হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে মাহফিলের মুসল্লিরা অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হন। তাঁর সুদবিরোধী বার্তা এবং ইসলামের জীবনদর্শনের প্রতি আহ্বান সামাজিক সচেতনতার একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। উপস্থিতরা তার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং অনেকেই এ বিষয়ে পরিবর্তন আনার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রথম ওয়াজ মাহফিলের বক্তব্য শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসা সুদবিরোধী বার্তা এবং ইসলামের জীবনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা স্থানীয় মুসল্লিদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে