নানান জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে ভারতের ভিসা পেলেন ইংল্যান্ডের পেসার সাকিব মাহমুদ। সিরিজ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার ভিসার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে আর কোনো বাধা রইলো না।

ভিসা পাওয়ার পর সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দিতে শুক্রবার কলকাতায় পৌঁছাবেন। তবে ভিসা জটিলতার কারণে আবুধাবিতে অপেক্ষা করতে হওয়ায় দলের সঙ্গে কোনো অনুশীলনে অংশ নিতে পারেননি তিনি।

এর আগেও ২০১৯ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে সাকিব মাহমুদের ভারতীয় ভিসা পেতে সমস্যা হয়েছিল। সেবার ভিসা না পাওয়ায় সেই সফরে ইংল্যান্ডকে সাকিবের পরিবর্তে অন্য ক্রিকেটারকে খেলাতে হয়েছিল। এবারও একই শঙ্কা দেখা দিলেও শেষ মুহূর্তে সাকিবের ভিসা অনুমোদন পাওয়া দলকে স্বস্তি এনে দিয়েছে।

ইংল্যান্ড দল ভারতের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। বোলিং কনসালটেন্ট জেমস অ্যান্ডারসন দলকে শক্তিশালী পেস আক্রমণ গঠনের পরিকল্পনা করেছেন। জোফরা আরচার, গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স এবং মার্ক উডের সঙ্গে সাকিব মাহমুদকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বোলিং আক্রমণ আরও ধারালো করার লক্ষ্য রয়েছে। সাকিবের ভিসা জটিলতা মিটে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নের পথে।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভিসা নিয়ে সাকিব মাহমুদের সমস্যা এবারই প্রথম নয়। ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির একই সমস্যার কারণে ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি। তবে এবার সফরের আগেই ইংলিশ ক্রিকেটার আদিল রশিদ এবং রিহান আহমেদকে ভিসা প্রদান করেছে ভারত।

সাকিব মাহমুদের ভিসা জটিলতা মিটে যাওয়ায় ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে। এখন তার ওপর নির্ভর করে শক্তিশালী বোলিং ইউনিট গঠনে মনোযোগ দিচ্ছে দল। ভারতের মাটিতে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে সাকিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছেন কোচ এবং দলের বোলিং স্টাফরা।

ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ম্যাচের আগে এই সুখবর পেয়ে ইংল্যান্ড দলে জয়ের জন্য আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।