ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: ভয়া বহ সং ঘ র্ষ, আহত ৫ জন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৮ ১৭:৪২:৫৬
ব্রেকিং নিউজ: ভয়া বহ সং ঘ র্ষ, আহত ৫ জন

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এ সময় দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও পাওয়া গেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের চন্ডিবের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের আগমন উপলক্ষে চন্ডিবের এলাকায় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ৯নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি হাজী মো. আক্তার মিয়ার পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামের পক্ষের কর্মীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে এক নেতাকে ‘হাইব্রিড নেতা’ বলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার ছেলে রাতুল (২৭), সাবেক কাউন্সিলর আনার মিয়ার পক্ষের জসিম মিয়া (৩৫)। গুরুতর আহতদের মধ্যে দুইজনকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত শফিকুল ইসলামের শ্যালি বিউটি বেগম অভিযোগ করেন, “আমার দুলাভাই শরীফুল আলমের অনুষ্ঠানে গেলে হাজী আক্তার মিয়ার পক্ষের লোকজন তাকে মারধর করে। দা দিয়ে কোপানোর ফলে তার নাক-মুখে গুরুতর আঘাত লাগে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অন্যদিকে, হাজী মো. আক্তার মিয়া বলেন, “তর্কবিতর্ক থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলেও আবার নতুন করে সংঘর্ষ হয়।”

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজিনা পারভীন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদি কোনো পক্ষ অভিযোগ করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংঘর্ষের পর এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিএনপির দুই পক্ষের প্রতি উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই ধরনের সংঘর্ষ দলীয় ঐক্য ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে