সাইফ আলি খানের ওপর হা ম লা কা রী বাংলাদেশি: মুম্বাই পুলিশ

বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক, এমনটাই দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ। রোববার ভোরে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে ৩০ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করা হয়।

শনিবার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের ‘সতগুরু শরণ’ ভবনের ১২ তলায় অবস্থিত নিজের ফ্ল্যাটে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। পুলিশের ভাষ্যমতে, হামলাকারী চুরির উদ্দেশ্যে ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। সাইফ আলি খান তার মুখোমুখি হলে, সে ছুরি নিয়ে অভিনেতার ওপর আক্রমণ চালায়।

আঘাত করার পর দ্রুত পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাইফের বাসা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়।

অভিযুক্ত যুবকের প্রকৃত পরিচয় জানতে গেলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুম্বাই পুলিশের দাবি, শেহজাদ একজন বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে নিজের নাম বদলে ‘বিজয় দাস’ রেখেছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা দীক্ষিত গেদাম বলেন, "প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের পর ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে মুম্বাইয়ে একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি।"

তিনি আরও জানান, “অভিযুক্ত ৫-৬ মাস আগে মুম্বাইয়ে আসে এবং চুরির উদ্দেশ্যেই সাইফের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। সাইফ আলি খান তার সামনে চলে আসায় সে আতঙ্কিত হয়ে আক্রমণ চালায়।”

মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, শেহজাদের কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস নেই। তবে তিনি কীভাবে ভারতে প্রবেশ করলেন এবং বাংলাদেশ থেকে তার যোগাযোগ কী ছিল, তা জানার জন্য আরও তদন্ত চলছে।

সাইফ আলি খান স্ত্রী কারিনা কাপুর ও দুই সন্তান তৈমুর (৮) এবং জেহ (৪) কে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকেন। হামলার ঘটনায় তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

হামলার পর সাইফ নিজেই সন্তানদের নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

যদিও মুম্বাই পুলিশ অভিযুক্তকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তবে তারা এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

এ ঘটনায় বলিউড সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফের বাড়িতে এমন হামলার পর অন্যান্য তারকাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।

মুম্বাই পুলিশের তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দিকে তাকিয়ে আছেন সাইফের ভক্ত এবং সাধারণ মানুষ।