সদ্য সংবাদ
ভারত সরকার দখল করে নিতে পারে সাইফ আলি খানের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খানের পারিবারিক সম্পদ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের পর পতৌদি পরিবারের মালিকানাধীন আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ভারত সরকারের হাতে যেতে পারে। শত্রু সম্পত্তি আইনের অধীনে এই সম্পত্তি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শত্রু সম্পত্তি আইন ও সম্পত্তির বিতর্ক
১৯৬৮ সালের শত্রু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, দেশভাগের পর যারা পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছেন, তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি ভারত সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অধিকার রাখে। সাইফ আলি খানের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। ভোপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যার মধ্যে একজন পাকিস্তানে চলে যান এবং অন্যজন ভারতে থেকে যান। সাইফ সেই কন্যার নাতি, যিনি ভারতে থেকে গেছেন। কিন্তু সরকার পাকিস্তানে যাওয়া কন্যার সম্পত্তির ভাগদানের প্রেক্ষাপটেই এটি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
কোন কোন সম্পত্তি রয়েছে বিতর্কে?
রায়ে উল্লেখিত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে পতৌদি পরিবারের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থাপনা, যেমন সাইফের শৈশবের বাড়ি ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্রাসাদ, দার-উস-সালাম, আহমেদাবাদ প্রাসাদ, কোহেফিজা সম্পত্তি এবং আরও কয়েকটি বিখ্যাত সম্পত্তি।
সাইফের প্রতিক্রিয়া ও সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা
সাইফ আলি খান বেশ কয়েকবার তার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে কথা বলেছেন। ২০২১ সালে বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি একসময় পতৌদি প্রাসাদ লিজ দিয়েছিলেন। ফ্রান্সিস ওয়াকজিয়ার্গ ও আমান নাথ নামে দুই ব্যক্তি সেখানে হোটেল চালাতেন। তবে প্রাসাদটি পুনরায় সাইফের মালিকানায় ফিরে আসে, যা এখন তিনি গ্রীষ্মকালীন বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন এবং মাঝে মাঝে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য লিজ দেন।
পতৌদি প্রাসাদের ঐতিহাসিক দিক
সাইফের বোন সোহা আলি খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাসাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, তাদের দাদী সাজিদা সুলতান ছিলেন ভোপালের বেগম, আর দাদা ছিলেন পতৌদির নবাব। ১৯৩৫ সালে এই প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণকাজ চলাকালীনই অর্থের সংকট দেখা দেওয়ায় প্রাসাদের কিছু অংশে সিমেন্টের মেঝে ব্যবহার করতে হয়।
সোহা আরও জানান, তাদের মা শর্মিলা ঠাকুর পরিবারের যাবতীয় আর্থিক হিসাব-নিকাশ পরিচালনা করেন। পতৌদি প্রাসাদ সাদা করা হয়, কারণ এটি রঙ করার খরচ তুলনামূলক বেশি।
বর্তমান পরিস্থিতি
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সম্পত্তির ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে, যা সরকারের সম্পত্তি দখলের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। সাইফ আলি খানের পরিবার এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সাইফের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে এই আইনি বিতর্ক শুধু তার পরিবারের জন্যই নয়, বরং এটি শত্রু সম্পত্তি আইনের অধীনে সম্পত্তি দখলের প্রক্রিয়াকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- সরকারি কর্মচারীদের ভাতা নিয়ে প্রেস সচিবের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- চরম দু:সংবাদ: সৌদি হাসপাতালে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০, আহত বহু
- ব্রেকিং নিউজ: শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানটিকে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বা হিনী, সতর্কতা জারি
- এইমাত্র পাওয়া: প্রধান উপদেষ্টাড. ইউনূসের পদত্যাগ, জানা গেল খবরের সত্যতা
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ছুটির উপহার: জানুয়ারিতে টানা ৫ দিন
- এইমাত্র পাওয়া: ওবায়দুল কাদেরের নেমে এলো শোকের কালো ছায়া
- ব্রেকিং নিউজ: নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা
- গুজব নাকি সত্য: শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছে ইন্টারপোল, সত্যতা প্রকাশ
- এইমাত্র পাওয়া: ওবায়দুল কাদেরের গ্রেপ্তার, বেরিয়ে এলো আসল সত্য খবর
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা নিয়েপরবর্তী সিদ্ধান্ত জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেয়া হল ১১৪ জনকে
- মামলা করলেন সারজিস আলম
- সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: দুই সমন্বয়ক আটকের দাবি, তদন্তে বেরিয়ে এল নতুন তথ্য