দ্বিতীয়বারের মতো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাওয়া হুমকির বার্তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। রাতভর তল্লাশি চালানোর পরও কোনো ধরনের বিস্ফোরক বা হুমকিস্বরূপ কিছুই পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে মালয়েশিয়ার একটি নম্বর থেকে বার্তাটি আসে। বার্তায় বিমানবন্দরে বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার কথা জানানো হয়।

তৎপরতা শুরু বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, হুমকির বার্তা পাওয়ার পরপরই নির্ধারিত প্রটোকল অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে পুরো বিমানবন্দর এলাকা তল্লাশি চালানো হয়।

তিনি বলেন, "তল্লাশি প্রক্রিয়ায় বিমানবন্দরের প্রতিটি স্থান ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা খতিয়ে দেখা হয়। তবে হুমকির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। রাত আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে তল্লাশি শেষ ঘোষণা করা হয়।"

আগের দিনও মিথ্যা বার্তা

এর আগে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমানের একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক থাকার বার্তা আসে। বার্তাটি বিমানবন্দর এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাকিস্তানি একটি নম্বর থেকে পাঠানো হয়।

ফ্লাইটটি বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। পুরো ফ্লাইট ও যাত্রীদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তল্লাশি করা হয়। তবে সেইবারও কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।

কর্তৃপক্ষের সতর্ক বার্তা

দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের মিথ্যা বার্তা পাওয়া গেলেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের হুমকি বার্তা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব বাহিনী সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ ধরনের মিথ্যা বার্তা না শুধু জনমনে আতঙ্ক তৈরি করছে, বরং গুরুত্বপূর্ণ সময় ও সম্পদের অপচয়ও ঘটাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বার্তাগুলো পাঠানো নম্বরের মালিকদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সতর্কতায় কোনো ছাড় নয়

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।