ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ১০:৩০:৩৫
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দেশ

রাত ১টা ২৬ মিনিটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঘুমন্ত মানুষ তীব্র কাঁপুনিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কম্পন স্বল্পস্থায়ী হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা

ভূমিকম্প বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কামটি এলাকা। এটি মাটির প্রায় ১১২ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) আরও জানিয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। মিয়ানমার ছাড়াও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে এর প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের প্রভাব

ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশে দুই ধাপে কম্পন অনুভূত হয়। প্রথম ধাপে ২ থেকে ৩ সেকেন্ডের তীব্র কাঁপুনি অনুভূত হয়। কিছুক্ষণ পর আবার মৃদু কম্পন দেখা দেয়। বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বাসিন্দারা এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থলের ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকাগুলোতেও শক্তিশালী কাঁপুনি টের পাওয়া গেছে। এমনকি একজন ব্যক্তি ২,৩৭১ মাইল দূরে থেকেও ভূমিকম্প অনুভব করার কথা জানিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া

ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই তাদের আতঙ্ক আর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সাদিয়া তাসনিম নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্ট করেন, “মাত্রা কত ছিলো! ধাক্কায়ে বিছানা থেকে ফেলে দিচ্ছিলো একদম! #ভূমিকম্প।”

আতঙ্কের রাত

মধ্যরাতের ভূমিকম্প সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় বসবাসের কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রস্তুত থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

উৎপত্তিস্থলের পরিস্থিতি

মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে কম্পনের তীব্রতা তুলনামূলক কম ছিল। তবে দূরের অনেক এলাকা এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভব করেছে।

মধ্যরাতের ভূমিকম্প আবারও আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় প্রস্তুতি ও সচেতনতা অপরিহার্য। বিশেষ করে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঝুঁকি মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে