ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য বিশাল দু:সংবাদ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ১৫:৫৬:২৮
সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য বিশাল দু:সংবাদ

বাংলাদেশের সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (বিশেষ ভাতা) প্রদান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারি ব্যয়ের সীমাবদ্ধতা এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না:

  • বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারি ব্যয়ের উপর চাপের কারণে বাংলাদেশ সরকার আপাতত সরকারি চাকুরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদান স্থগিত রেখেছে।
  • ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে পাঠালেও এটি নাকচ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মুহূর্তে এই ভাতা প্রদান অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন হবে না, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এটি পুনঃবিবেচনা করা হতে পারে।

প্রস্তাবিত ভাতা এবং খরচ:

  • অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি চাকুরিজীবীদের মূল বেতনের ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল।
  • এটি বাস্তবায়ন হলে সরকারের অতিরিক্ত ৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারত, যা বর্তমান সময়ে সরকারের বাজেটের জন্য একটি বড় বোঝা হতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি:

  • দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং সরকারি ব্যয়ের ওপর চাপ কমানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
  • বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বেসরকারি খাতের তুলনায় ভালো এবং এই অবস্থায় মহার্ঘ ভাতা দেওয়া অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তিসঙ্গত নয়।

ইতিহাস এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

  • সর্বশেষ ২০১৫ সালে সরকারি বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে প্রতি বছর ৫% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০% মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব ছিল, তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং, ২০২৩ সাল থেকে ৫% ইনক্রিমেন্ট এবং ৫% প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
  • ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি উন্নতি হয়, তবে মহার্ঘ ভাতা পুনঃবিবেচনা হতে পারে।

বর্তমানে সরকারি চাকুরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদান স্থগিত হলেও, যদি ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতি ঘটে, তবে এটি পুনরায় বিবেচনা হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে