আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১০টি আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। জামায়াতের এই প্রার্থীদের নাম শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক আকন্দ।

মোজাম্মেল হক আকন্দ জানান, স্থানীয় মতামত এবং মাঠ পর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। তবে একটি আসন এখনও চূড়ান্ত হয়নি, যা ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসন।

তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ জামায়াতের নেতৃত্ব দেখতে চাচ্ছে, যা আমাদের উৎসাহিত করছে। প্রার্থীরা প্রতিটি গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে গণসংযোগ করবেন এবং দলীয় লোকজনও তাঁদের সঙ্গে কাজ করবেন। এই গণসংযোগের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের সমস্যাগুলি শুনতে পারবেন এবং মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। মাঠে যত বেশি দৌড়ানো হবে, মানুষের আগ্রহ তত বাড়বে, এবং জামায়াতের প্রতিশ্রুত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।"

মোজাম্মেল হক আকন্দ আরো জানান, যদি কোন জোট গঠন হয়, তবে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে যে কোনো আসন ছাড়তে প্রস্তুত থাকবে। তাঁরা জাতীয় স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ করতে রাজি।

এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হওয়া ১০টি আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন:

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া): মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া সাংগঠনিক থানা শাখার রুকন ও জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা): সাবেক উপজেলা আমির মাহবুব মণ্ডল।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর): উপজেলা শাখার আমির মাওলানা বদরুজ্জামান।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর): মহানগর জামায়াতের আমির কামরুল আহসান।

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা): কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া): জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কামরুল হাসান।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল): মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আসাদুজ্জামান।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ): উপজেলা জামায়াতের আমির মঞ্জুরুল হক।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও): ইসমাইল হোসেন।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা): উপজেলা শাখার আমির সাইফ উল্লাহ পাঠান।

ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে প্রার্থী এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে জামায়াতের এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।