ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

গ্রিসের সান্তোরিনি ও আমোরগোস দ্বীপ

চারদিনে দুইশো বার ভূমিকম্প

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪ নিউজ
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৯:১৯:৫১
চারদিনে দুইশো বার ভূমিকম্প

গত চারদিনে গ্রিসের সান্তোরিনি ও আমোরগোস দ্বীপে দুইশরও বেশি ভূমিকম্প ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এর ফলে সান্তোরিনিসহ আমোরগোস, লোস এবং আনাফির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একদিকে, ভূমিকম্পের কারণে দ্বীপের পর্যটন শিল্পে চাপ পড়েছে, অন্যদিকে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে পর্যটকদের সরে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল ৪.৬ মাত্রার, যা সান্তোরিনির স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সান্তোরিনিতে ৪ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

গ্রিসের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা এজিয়ান এয়ারলাইন্স সান্তোরিনিতে সোমবার দুটি এবং মঙ্গলবার একটি বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে, যাতে বাসিন্দা ও পর্যটকরা দ্বীপ ছাড়তে পারেন। এয়ারলাইন্সের এ সিদ্ধান্তটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে, গ্রিসে ভাইরাল হওয়া কিছু তথ্য অনুযায়ী, সান্তোরিনি থেকে দলে দলে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। তবে দ্বীপটির মেয়র নিকোস জোরজোস এই তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা সান্তোরিনি ছাড়ছেন তাদের বেশিরভাগই মৌসুমী শ্রমিক, স্থানীয়রা নিজ বাড়িতেই আছেন এবং দ্বীপে অবস্থান করছেন।

সান্তোরিনি, যা হেলানিক ভলকানো আর্কে অবস্থিত, ইউরোপের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়, তবে এর পরেও প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ পর্যটক দ্বীপটি ঘুরতে যান। এছাড়া, সান্তোরিনির স্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার।

তথ্য অনুযায়ী, সান্তোরিনি এবং আশেপাশের অঞ্চলে গত ৪ লাখ বছরে ১০০টিরও বেশি অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প সান্তোরিনিতে ঘটেছিল ১৯৫৬ সালে, যা ৭.৫ মাত্রার ছিল এবং এর ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ৮০ ফুট উঁচু সুনামি। ওই ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সান্তোরিনিতে ভূমিকম্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া দায়ী। তবে, তারা আশ্বস্ত করেছে যে, বর্তমানে আগ্নেয়গিরির সক্রিয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, যেমনটি ২০১১ ও ২০১২ সালেও ঘটেছিল, তবে সেসময় কোনো অগ্ন্যুৎপাত হয়নি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে