সদ্য সংবাদ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল
ডায়াবেটিস একটি চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক রোগ, যা অনেক ক্ষেত্রে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। এর প্রধান কারণ হল ইনসুলিন হরমোনের অভাব বা ত্রুটিপূর্ণ কার্যকারিতা। ইনসুলিন মূলত প্যানক্রিয়াস থেকে উৎপন্ন হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ইনসুলিনের সমস্যা হলে শরীরে উচ্চ ব্লাড সুগার তৈরি হয়, যার ফলস্বরূপ ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
ডায়াবেটিসের ধরনটি যেকোনো ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। যেমন, গর্ভাবস্থায় নারীদের মধ্যে টাইপ-৩ ডায়াবেটিস দেখা যেতে পারে, যা কিছুটা আলাদা পরিস্থিতি তৈরি করে। এটি প্রমাণিত যে, দীর্ঘকালীনভাবে উচ্চ রক্তের সুগার শরীরে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন কিডনি, হার্ট এবং চোখের রোগ। এই সমস্যাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক অক্ষমতা সৃষ্টি করে এবং রোগীর জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তোলে।
তবে, ভালো খবর হলো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, বিশেষত যদি আপনি কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন করতে পারেন। ব্লাড সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিনের পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রোটিনের অতিরিক্ত মাত্রা শরীরে সুগারের স্তরকে অস্থিতিশীল করতে পারে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বড় সমস্যা। তাই প্রোটিনের উৎস কমানো জরুরি হয়ে পড়ে।
পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট যেমন মাখন, ঘি, নারকেল তেল বা অন্যান্য প্রাকৃতিক তেল শরীরে এক ধরনের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে এবং এটি সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে, সকালের খাবারের আগে এক চামচ ঘি বা নারকেল তেল খাওয়া হতে পারে একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায়। এতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং ব্লাড সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
এছাড়া, প্রাকৃতিক বাদাম এবং দানাশস্যও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। রাতে বাদাম এবং দানাশস্য ভিজিয়ে রেখে সকালে তা খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই খাদ্যাভ্যাস শরীরকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে, তবে এটি অবশ্যই নিয়মিতভাবে মেনে চলা উচিত।
তবে, এই খাদ্যাভ্যাস এবং টোটকাগুলোর কার্যকারিতা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত না হলেও অনেকেই এর উপকারিতা অনুভব করেছেন। এর পরেও, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত নয়। ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন এবং এসব প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করেন, তবে তা তাঁদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
এভাবে, পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এবং এই ধরনের পরিবর্তন শারীরিক সমস্যাগুলির প্রতি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- বিপিএল-এ ফিক্সিংয়ের সন্দেহ: বিসিবি রিপোর্টে উঠে সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের নাম
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য আসলো বিশাল সুখবর
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- ব্রেকিং নিউজ: নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা
- সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের তারকা পেসার তানজিম সাকিব
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা নিয়েপরবর্তী সিদ্ধান্ত জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি: নতুন তথ্য প্রকাশ
- ব্রেকিং নিউজ: দেশে ফিরেই শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হলেন নেতা সাদ্দাম হোসেন
- লাস্ট ওয়ার্নিং পেলেন মিজানুর রহমান আজহারী
- ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ
- দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ
- অবস্থা ভয়াবহ খারাপ: ব্যাপক সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি