বাংলাদেশের খ্যাতনামা সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিম সম্প্রতি তার জীবনের গভীরতম দুঃখের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, “আমি যতই দেশ ঘুরছি, আমার বাবা-মা’র জন্য কিছু কিনে আনতে পারছি না, এটা আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ। আমি অনেকেই দেখি, বাবা-মায়ের জন্য শপিং করে, কিন্তু আমি সে সুযোগ আর পাই না।” তাঁর কথা শুনে বোঝা যায়, জীবনের নানা অর্জন থাকলেও, কিছু অভাব একে অপরকে ছাপিয়ে যায়।

রিয়াসাদ আজিম আরও বলেন, “এটা সত্যি কষ্টের, কারণ যদি আমার ভাই বেঁচে থাকতো, আমরা হয়তো একই রকম জামাকাপড় পরতাম, একই রকম পাঞ্জাবি পরতাম, আর বাবা হয়তো আমাদের মতো পাঞ্জাবি পরতেন।” এসব কথায় যেন জীবন এবং মৃত্যুর মাঝে থাকা শূন্যতার এক প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছিল।

তবে তার সবচেয়ে বড় দুঃখ ছিল, “যতই আমি সাফল্য অর্জন করেছি, আমার সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো সে সাফল্য দেখতে পারেনি। আমি দুবার জাতীয় ডিবেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, কিন্তু মা যদি বেঁচে থাকতেন, সেটা দেখতেন, কত আনন্দ হতো তাঁর।” এই কষ্টে মন ভেঙে যায়, আর সেই মুহূর্তে প্রকাশিত হয় তাঁর হৃদয়ের আক্ষেপ।

এদিকে, রিয়াসাদ আজিম বলেন, “এটা এমন একটি দুঃখ যা আমি কখনো কারো কাছে প্রকাশ করিনি। আজ, আমি প্রথমবারের মতো বলছি। হয়তো আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছি, কিন্তু জীবন, সাফল্য, সুখ-দুঃখের মধ্যে অনেক কিছু এমন থাকে যা আর কখনো পূর্ণ হতে পারে না। এটা এমন এক শূন্যতা যা কোনো কিছু দিয়ে পুরণ করা সম্ভব নয়।”

আজিমের এই বক্তব্যগুলো তাঁর জীবনযাত্রা এবং সম্পর্কের মাঝে থাকা এক বিরাট শূন্যতা এবং নিঃসঙ্গতার কথাই বলছে। যদিও তিনি প্রতিনিয়ত হাসিমুখে জীবন যাপন করতে চান, তার অতীতের দুঃখ যেন তাকে চিরকাল তাড়া করে চলে। "আমার এই যাত্রা কেবল আমি জানি, তবে আমি নিজেকে অদম্য মনে করি। জীবনের যে দুঃখগুলো কেউ জানে না, সেগুলোই আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষা," বলেন তিনি।

এই কথাগুলোর মাঝে নিহিত রয়েছে রিয়াসাদের এক অপ্রকাশিত দুঃখ। একদিকে যেমন তার জীবনের সাফল্য রয়েছে, তেমনি অন্যদিকে তার পরিবারের অনুপস্থিতি সেই সাফল্যকে পরিপূর্ণতা দিতে পারেনি। তবে, এই সঙ্গতিহীনতা থেকেই যেন তিনি জীবনের চলার পথে এক নতুন শক্তি অর্জন করেছেন।